কবি সোহেল হাসান গালিবকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ তাকে আটকের পর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়। শুক্রবার বিকাল তাকে নেওয়া হয় আদালতে। নাম প্রকাশ না করে পুলিশের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এবারের বইমেলায় প্রকাশিত একটি বইয়ে গালিবের লেখা একটি কবিতা ঘিরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে। বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘উজান’। এদিকে ‘নিরাপত্তার শঙ্কায়’ তিন দিন ধরে তারা বইমেলায় স্টল বন্ধ রেখেছে।
গালিবের বড় ভাই নাজমুল হুদা সেতু একটি গণমাধ্যমকে বলেন, গালিবকে পুলিশ নিয়ে গেছে। শুনেছি আজ তাকে আদালতেও তুলেছে।
পুলিশ নিয়ে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা গালিবের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন বলেও জানান নাজমুল হুদা।এর আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না গালিবের। তার ফেইসবুক একাউন্টও ডিএক্টিভেট করা, বন্ধ রয়েছে মোবাইল ফোন নম্বরও। এদিকে গালিবের খোঁজ না পেয়ে সাহিত্য অঙ্গনের অনেকে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তারা গালিবের খোঁজ জানতে চান।সম্প্রতি সোহেল হাসান গালিব ফেসবুকে ‘তৌহিদি জনতা’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেন। এ পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।এদিকে ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিক্ষোভ করে। কয়েকশ শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন হলেরসামনে দিয়ে ঘুরে আবারও নর্থ হলের সামনে এসে শেষ হয়। ৮টি হল থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থী এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, সোহেল হাসান গালিবকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এছাড়া যে প্রকাশনী বইমেলায় এ বই প্রকাশ করেছে তাদের স্টল বন্ধ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এছাড়াও এমন কটূক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়াহ সার্কেল বিবৃতি দেয়। তারা দাবি জানায়, সোহেল হাসান গালিবের মন্তব্যের জন্য বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শান্তি প্রদান করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘৃণিত কাজ করার সাহস না পায়।

Posted inএক্সক্লুসিভ