1. mskamal124@gmail.com : thebanglatribune :
  2. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
ইসলামই একমাত্র প্রগতিশীল ধর্ম - The Bangla Tribune
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ | ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

ইসলামই একমাত্র প্রগতিশীল ধর্ম

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪

প্রগতিবাদ মানে, আদিমতার চর্চা বিসর্জন; সম্মুখপানে এগিয়ে চলার গতিময় চিন্তা-মনন;. অতীতের কুসংস্কার ও ভুলের সংশোধন; জ্ঞানের আলোয় বিবেকের উত্তরণ। এক কথায় প্রগতি বলতে এমন একটি নিদিষ্ট অগ্রগতি অভিষ্ট লক্ষ্যেকে বোঝায় যাকে কেন্দ্র করে এমন উচ্চতায় পোঁছানো যা অবিরামভাবে সম্মুখপানে অগ্রসর হয়। আবার বর্তমান প্রগতিশীল ব্যক্তিগণের বক্তব্য হলো প্রগতি মানেই সকল ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় সহ যাবতীয় বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। আধুনিক প্রগতিবাদ আন্দোলন ১৮ শতকের দিকে ইংল্যান্ডের হব্স, লক এবং ফ্রান্সের ভল্টেয়ার, রুশো প্রমুখ চিন্তাবিদ ধর্মের বিরুদ্ধবাদী চেতনায় আলোকপাত করেন। এই প্রগতির ছোঁয়া লাগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উত্তরণের লক্ষ্যে শিল্পবিপ্লবের সময় থেকে।
প্রগতি সম্পর্কে অগাস্ট কোৎ সামাজিক প্রগতিকে মানুষের চিন্তাধারার প্রগতির সঙ্গে সমার্থক মনে করেন। মনোজগতে মানুষের প্রগতির মানবসমাজের প্রগতির মাপকাঠি। সুতরাং প্রগতি হচ্ছে বিবর্তন ও সামাজিক পরিবর্তনের পরিচালক।
ইসলামে প্রগতিবাদ চিরন্তন, সর্বজনীন ও আধুনিকতার কোনো ধরনের কমতি নেই, এটি শাশ্বত অত্যাধুনিক। আমরা যদি দ্বীন ইসলামকে বাদ দিয়ে প্রগতিশীল হতে চাই, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন খোঁজ করে, তার কাছে থেকে তা কখনোই গ্রহণ করা হবে না এবং ওই ব্যক্তি আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সুরা : আলে ইমরান : ৮৫)। এই দ্বীনের মধ্যে কোনো ধরনের রদ-বদল বা যোজন-বিয়োজন করার প্রশ্নই আসে না। দ্বীন ইসলাম চিরস্থায়ী পূর্ণাঙ্গ ও সংযোজন-বিয়োজনমুক্ত সর্বজনীন প্রগতিশীল। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম। আর ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বিন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৩)
প্রগতি যেহেতু অগ্রগামী, সেহেতু ইসলামী শরিয়া মোতাবেক জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ ও এর মধ্যে পরিগণিত হয়। যারা ইসলামে উগ্রপন্থী। তারা রাসূল (সা) এর আদর্শ ও ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না। কেননা আমাদের যে, মধ্যমপন্থা অবলম্বন করার কথা নির্দেশ দেওয়া হয়।তা উগ্রপন্থীকে সমর্থন করে না।যেমন-লোক্বমান (আঃ) তাঁর পুত্রকে মধ্যপন্থা অবলম্বনের উপদেশ দিয়ে বলেন, وَاقْصِدْ فِي مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ إِنَّ أَنْكَرَ الْأَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِيرِ ‘আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর, তোমার আওয়াজ নীচু কর; নিশ্চয় সবচাইতে নিকৃষ্ট আওয়াজ হল গাধার আওয়াজ’ (লুক্বমান ৩১/ ১৯)।মধ্যম পন্থায় চলাফেরার কারণে মানুষ সম্মানিত হয়।
ইসলামে প্রগতি অতীব চিরন্তন ও সার্বজনীন। এই প্রগতির প্রতিষ্ঠাতা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহানবি (সা)। তাঁর রেখে যাওয়া মানদন্ড পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা অনুমোদিত, তার সাথে কোনভাবে সাংঘর্ষিক নয় অথচ তা সংগতিপূর্ণ যার মাধ্যমে তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাতের মান অক্ষুণ্ণ থাকে, কেবল তাকেই তারা প্রগতিবাদ বলে গ্রহণ করেন।
ইসলামে প্রগতিবাদীদেরকে মুসলিম হিসাবে অভিহিত করা হয়। মহান আল্লাহ এদেরকে মুসলিম বলে সম্বোধন করেছেন। এমর্মে মহান আল্লাহ বলেন, وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ مِلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمِينَ مِنْ قَبْلُ وَفِي هَذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ ‘আর তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ কর যথার্থ জিহাদ। তিনি তোমাদেরকে মনোনীত করেছেন। আর তিনি তোমাদের উপর দ্বীনের মধ্যে কোনরূপ সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমাদের পিতা ইবরাহীমের ধর্মের উপর তোমরা প্রতিষ্ঠিত থাক। তিনি তোমাদের নাম রেখেছেন ‘মুসলিম’ হিসাবে ইতিপূর্বে এবং এই কিতাবে। যাতে রাসূল(সা) তোমাদের উপর সাক্ষ্যদাতা হন এবং তোমরা সাক্ষদাতা হও মানব জাতির উপরে। অতএব তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত আদায় কর এবং আল্লাহকে মযবুতভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের অভিভাবক। কতই না উত্তম অভিভাবক তিনি এবং কতই না উত্তম সাহায্যকারী তিনি’ (হাজ্জ ২২/৭৮)। আর ইসলামের অনুশীলনের মাধ্যমে রাসূল (সা:) অন্ধকারাচ্ছন্ন জাহেলী যুগকে প্রগতিশীল স্বর্ণযুগে পরিণত করেছিলেন। সেই যুগের মানুষই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তারা ইসলামের বিধি-বিধান অনুসরণ করেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ- ‘তোমরাই হ’লে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে’ (আলে ইমরান ৩/১১০)। নবী করীম (সা) বলেছেন, خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِيْ ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ- ‘আমার যুগের মানুষই সর্বোত্তম মানুষ। অতঃপর তার পরের যুগের মানুষ, অতঃপর তার পরের যুগের মানুষ’।
তাছাড়া তখন যেসব দেশে ইসলামী আইনের অনুশাসন বিদ্যমান ছিল ঐ সব দেশ প্রগতীর মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল। এখনো যেসব দেশে ইসলামের অনুশাসন যত বেশী সেই সব দেশ তত উন্নত, সভ্য ও প্রগতির উচ্চ শিখরে অবস্থান করছে। যদি আমরা ইসলামী অনুশাসনের আদলে ইসলামী প্রগতিশীল হই তবে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত নাযিল করা হবে এবং প্রবৃদ্ধিতে দেশকে সমৃদ্ধ করা হবে। মহান আল্লাহ বলেন, وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَلَكِنْ كَذَّبُوا فَأَخَذْنَاهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ ‘জনপদের অধিবাসীরা যদি ঈমান আনয়ন করে এবং আল্লাহভীতি অর্জন করে, তবে তাদের প্রতি আসমান-যমীনের যাবতীয় বরকতের পথ উন্মুক্ত করে দিব’ (আ‘রাফ ৭/৯৬)।
জ্ঞান-বিজ্ঞান যদি তা ধর্ম নিরপেক্ষতা মতবাদের আলোকে পরিচালিত হয়, তা প্রগতি নয়; বরং তা হ’ল প্রগতির নামে প্রহসন। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আধুনিক ধ্বজাধারী বাণিজ্যিক যে প্রগতি, তার একমাত্র বাঁধা ধর্মীয় মতবাদ। আর তা অন্য কোন ধর্মের নয় একমাত্র দ্বীন ইসলামই হ’ল আধুনিক প্রগতির প্রতিবন্ধকতা। আজ সারা বিশ্বে সামাজিক অবক্ষয়ের মূল কারণ এই প্রগতিবাদের নামের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বিষ বৃক্ষটি। প্রগতির নামে অসামাজিক অনৈতিক কর্মকান্ড নিদ্বির্ধায় ঘটে চলেছে। যারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নামে ধর্মহীনতা ও নৈতিকতা বিরোধী মতবাদ চাপিয়ে দিতে চায় সাধারণ মানুষের ঘাড়ে তাদের উপলব্ধি করা উচিৎ বিগত ইসলাম বিরোধী শক্তি ও অপচেষ্টা থেকে। প্রগতির নামে ইসলাম বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদকে সমাজের বুকে চাপিয়ে দেয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চলছে, সবাইকে অনৈতিকতা ও অপসংস্কৃতির অন্ধকারে নিমজ্জিত করে আমাদের ঈমানী শক্তি অপহরণ করে চলেছে। তবে সমাজের অতি শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীরা ইসলামকে বাদ দিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার কুটকৌশল অবলম্বন করছে। তাদের মতে সমাজে অপসংস্কৃতির নামে অনৈতিক অশ্লীলতা বেহায়াপনা ছড়িয়ে দেয়া। মানসম্মত শিক্ষার নামে ইসলামী শিক্ষা বর্জিত করে নাস্তিকতাপূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ কারিকুলাম প্রনয়ণ। যার ফলে শিক্ষার হার গাণিতিক হারে বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষার মান জ্যামিতিক হারে হ্রাস পাচ্ছে। বিভিন্ন দিবসের নামে যুবক যুবতীদের মিলন মেলায় অংশগ্রহণ ও বেহাপনায় উদ্বুদ্ধ করণ। পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক ছিন্নকরণসহ সামাজিক মূল্যবোধ বিনষ্ট করার সর্বাত্মক অপচেষ্টা করে চলেছে। তারা নিজেদেরকে সভ্য ভাবেন, পাশ্চাত্যের অনুকরণে উন্নত সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখেন। তাদের সামনে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ বড় ধরণের বাঁধা বলেই ধারণা করেন। আজ সারা বিশ্বের অস্থিরতা ও অশান্তির ধোঁয়া চারিদিক থেকে ক্রমে ক্রমে আমাদের চারপাশে ছেয়ে যাচ্ছে তার মূল চিন্তা শক্তি প্রগতির নামে যত সব প্রহসনের প্রতিক্রিয়া মাত্র।
বর্তমান বিশ্বে তথাকথিত সুশিক্ষিত সুসভ্য জাতি ও প্রগতিবাদীরা অশ্লীলতা বিস্ফোরণ ছড়ায়। যার ফলে নানা ধরণের অপরাধ প্রবণতা বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিঘ্নিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা। প্রকটভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রগতির নামে নারী অশ্লীলতা । নারীদেরকে সিনেমা, টেলিভিশন, থিয়েটার, বিজ্ঞাপন, পত্র-পত্রিকায় নগ্ন-অর্ধনগ্ন অবস্থায় উপস্থাপন করা হচ্ছে। নায়ক নায়িকাদের যৌন আবেদন মূলক অশালীন, অশোভন অভিনয়, নাচ-গান, বেহায়াপনা, উত্তেজনা সৃষ্টিকারী দেহ প্রদর্শন করে যুবসামজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। নারী জাতির এ বেহাল অবস্থা দর্শন করে সর্বস্তরের জনসাধারণ হারিয়ে ফেলেছে নারীদেরকে মা বোনদের মত সম্মান করার মন- মানসিকতা, তারা হারাতে বাধ্য হয়েছে তাদের হৃদয়ের পবিত্রতা। মানুষ কত নীচে নামতে পারে এবং তাদের নগ্নতা ও অশ্লীলতা কিভাবে দুনিয়ার সামনে উপস্থাপন করা যায় তার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। প্রগতির নামে অশ্লীলতা দেশ ও জাতিকে ক্রমশঃ চরম অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেট সকল অপসংস্কৃতির মূল চাবিকাঠি, যেমন ফেসবুক, স্কাইপি, ট্যাংগু, উইচ্যাট, গুগলটক, ইউটিউব, ইউপর্ণ, অশস্নীল বস্নগ, লাইক পেজ প্রভৃতি নামের কিছু ওয়বে সাইট। এই সাইট ও লাইপেজগুলো অকল্পনীয় অশ্লীলতা প্রচার ও প্রসার করে চলেছে। আর একারণে ধ্বংস করছে মানুষের ঈমান-আক্বীদা, চরিত্র ও মেধা। প্রকাশ্যে বাড়ীতে, বৈঠকখানায়, দোকানে, বাসে, রাস্তা-ঘাটে সর্বত্র চলছে লজ্জা-শরম বিধ্বংসী কার্যকলাপ। শিক্ষা সাংস্কৃতির নামে অনৈসলামিক কার্যক্রমের সবার্তমক উত্থান। মুক্তমনা জাতিই না’কি প্রগতিশীল। এই প্রগতির প্রতিচ্ছায়ায় আজ আত্মীয়তার সুসম্পর্কের বন্ধন ধীরে ধীরে ঢিলা হয়ে যাচ্ছে। আধুনিক প্রগতিবাদীরা ধীরে আইয়ামে জাহিলিয়াতে ঘোর অন্ধকারের দিকে ফিরে যাবার জন্য সর্বাত্মক অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। বলা যায় এরা জন্ম দিতে চায় ‘মডার্ণ আইয়্যামে জাহেলিয়াত’। মুসলমানদের যারা চিরশত্রু। যতক্ষণ পর্যন্ত না মুসলমানরা তাদের আচার-আচরণকে অনুকরণ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা মুসলমানের শত্রু ভাবাপন্ন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ ‘হে মুমিনগণ, তোমরা ইহুদী ও খ্রিষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করনা। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত’ (মায়েদা-৫/৫১)। ‘আর ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্ম অনুসরণ করেন’ (বাক্বারাহ ২/১২০) ।
মহান আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য যুগে যুগে দ্বীন ইসলামকে প্রোগ্রেস বা প্রগতিশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে নানা প্রেক্ষাপটে অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। আর অহীভিত্তিক জীবন ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় প্রগতিবাদ হ’ল ইসলাম।ইসলাম একটি নিদিষ্ট অগ্রগতি অভিষ্ট লক্ষ্যে মানুষকে পৌঁছায়। সুতরাং ইসলামই একমাত্র প্রগতিশীল ধর্ম। আল্লাহ আমাদের সহায় হোক-আমীন।

লেখকঃ মোঃ কামাল উদ্দিন, লেকচারার, আতাকরা কলেজ, কুমিল্লা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020