আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগ করার পর থেকেই অচলাবস্থা বিরাজ করছে দেশের উচ্চশিক্ষায় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি)। সাবেক চেয়ারম্যান পদত্যাগ করার পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে দেয় সরকার। তবে, বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম ও ইউজিসি কর্মকর্তাদের বাধায় যোগদান করতে পারছেন না ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। অন্য চারজন সদস্যও অফিস করছেন না। আজ সোমবারও (২ সেপ্টেম্বর) ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও চার সদস্য অনুপস্থিত আছেন। এদিন সকালে ইউজিসির সচিব ড. মো. ফখরুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চেয়ারম্যান স্যারসহ অন্যান্য সদস্যরা আজ (সোমবার) অনুপস্থিত আছেন। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ইউজিসিরি পূর্ণকালীন পাঁচ সদস্য হলেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র চন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা খান এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।
জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১১ আগস্ট চেয়ারম্যান পদ থেকে অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ আগস্ট ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিনিয়র সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে। কিন্তু তাকে মেনে নেননি ইউজিসির কর্মকর্তারা। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বিগত সরকারের তোষামোদির অভিযোগ তুলে গতকাল রবিবার তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলীরা।