সাফল্যের ইতিহাস লিখতেই ক্যামেরার পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন নির্মাতা রায়হান রাফি। তার সামনে ঢালিউড তারকা শাকিব খান, পেছনে একগুচ্ছ শক্তিমান প্রযোজক। ছবির নামের মতো তুফান বয়ে যাবে ইন্ডাস্ট্রিতে, কথা ছিল সে রকমই। তারপরও কতিপয় বাস্তবতা ব্যর্থ করে দিতেই পারে এই মহা আয়োজন। কী সেসব?তুফান’ ছবির টিজার ও গান দেখে যতদূর বোঝা যায়, তা থেকে মনে হয়েছে এতে আসলে নতুন কিছু দেখানো হচ্ছে না। বাজার চলতি সিনেমাগুলার অনেক দৃশ্য ও পরিস্থিতির ছায়া লক্ষ্য করা গেছে ছবিতে। এরই মধ্যে অনেকেই নির্দেশ করেছেন যে, বলিউডের ‘অ্যানিমেল’ ছবির কিছু দৃশ্য কমন পড়েছে এই ছবিতে। যা দেখে ধারণা করে নেওয়া যায়, একেবারে দৃশ্য থেকে দৃশ্য কপি করা না হলেও অনুকরণের আভাস রয়েছে ‘তুফান’-এর নির্মাণে। নতুন দৃশ্যে নতুন গল্প বলার অভিজ্ঞতা ঢালিউডের খুবই কম এবং যে কয়েকটি জায়গায় বলা হয়েছে, সেখানে সাফল্যের নজির খুব একটা দেখা যায়নি। সাম্প্রতিককালে বলিউডের যে সিনেমাগুলো বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে, সেই ছবিগুলোতে যে ধরনের গল্প ও দৃশ্য দেখানো হয়েছে, সেই ধরনের দৃশ্য ও গল্প দেখানো ঢাকার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। উদাহরণ টেনে বলা যায়, ‘অ্যানিমেল’ ছবিতে তৃপ্তি দিমরির যৌনতার দৃশ্য ঢাকার পক্ষে, বিশেষত এই প্রযোজনা সংস্থাগুলোর পক্ষে দেখানো নানা কারণে অসম্ভব। দক্ষিণ ভারতের আরেক সফল ছবি ‘প্রেমালু’র মতো সহজ সরল গল্প বলার সাহস রায়হান রাফির পক্ষে দেখানো ঝুঁকিপূর্ণ। মোটকথা মোবাইল ফোনে সিনেমা দেখার বিপুল সুযোগের এই যুগে দর্শক এরই মধ্যে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন রুচির সিনেমা নিজের ভাষায় উপভোগ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এ রকম সময়ে ‘তুফান’ বিক্রি করে মুনাফা বাড়িতে তোলা কঠিন একটি কাজ হবে। তবে নির্মাতাদের পুঁজি দুটি; এক, রায়হান রাফির নির্মাণ মুন্সিয়ানা, দুই, প্রযোজনা সংস্থার বাজারজাতকরণ কৌশল।