1. mskamal124@gmail.com : thebanglatribune :
  2. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
‘মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া’ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে - The Bangla Tribune
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ | ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

‘মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া’ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, জুন ১৮, ২০২৪

পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া। বৈজ্ঞানিকভাবে এই ব্যাকটেরিয়াটি দ্বারা ছড়ানো রোগের নাম স্ট্রেপটোকক্কাল টক্সিক শক সিনড্রোম (এসটিএসএস)। বিজ্ঞানীরা এই ব্যাকটেরিয়াকে ‘মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া’ হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। এখন পর্যন্ত জাপানজুড়ে প্রায় ১ হাজার ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা।জাপানি স্বাস্থ্য বিভাগ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এই রোগ খুব দ্রুত ছড়ায় এবং খুব বেশি সময় না নিয়ে এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যান। চলতি বছরের ২ জুন নাগাদ, জাপানের এই রোগে আক্রান্ত ৯৭৭ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। গত বছরও এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল ৯৪১ জন।
এক ধরনের স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ানো এই রোগের বেশ কিছু লক্ষণ আছে। তবে স্ট্রেপটোকক্কাল টক্সিক শক সিনড্রোম শুরু হয় মূলত এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের বিভিন্ন কলা বা টিস্যু ও রক্তপ্রবাহে ঢুকে যাওয়ার পর। মানুষের টিস্যু ও রক্তপ্রবাহে ঢুকে যাওয়ার পর এই ব্যাকটেরিয়া এক ধরনে বিষাক্ত উপাদান ছড়িয়ে দেয়।যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তথ্য অনুসারে, এই বিষয়ক্রিয়া মানুষের শরীরে তীব্র ও বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তবে এই রোগটি এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে খুব সহজে ছড়ায় না। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এটি ছোঁয়াচে রোগ নয়। সাধারণত, এই রোগের প্রকাশ প্রায় সামান্য জ্বরের মাধ্যমে।এ ছাড়া, মাংস পেশিতে ব্যথা, খিঁচুনি, মাথাব্যথা, বমি ইত্যাদি লক্ষণও দেখা দিতে পারে। উপযুক্ত সময়ে চিকিৎসা না হলে, পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এর কারণে মানুষের শরীরে নিম্ন রক্তচাপ, অর্গান ফেইলিওর, হৃৎপিণ্ডের তীব্র গতি এবং দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এর বাইরে এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে শিশুদের ক্ষেত্রে গলায় ফুসকুড়ির মতো ঘা দেখা দিতে পারে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রত্যেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ব্যথা, গলা ফুলে যাওয়া, জ্বর আসতে পারে। এর ফলে, মানুষের শরীরের বিভিন্ন টিস্যু খুব দ্রুত মারা যেতে পারে এবং পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণও হতে পারে অনেক সময়।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020