রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বসবাসকারী কর্মজীবীরা গতকাল ঘর থেকে বের হয়েই বিড়ম্বনায় পড়ে যান। সাপ্তাহের প্রথম দিন কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে হোঁচট খান। সড়কে সব ধরণের যানবাহনের গতিরোধ করে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে একদল মানুষ। বিক্ষোভ এক পর্যায়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা নৈরাজ্যে রুপ নেয়। এক সময় পুলিশের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ৩০টির অধিক বাস, ট্রাক ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। বিকেলে মিরপুরের কালশীতে ট্রাফিক বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভকারী কারা? এরা হচ্ছে রাজধানীতে চলাচল করা অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। এই অটোরিকশাকে বলা হয় রাজধানীর সড়কের চলমান যমদূত। রিকশার চালকরা তাদের খেয়াল-খুশিমতো চলে। অন্য যানগুলোকে তোয়াক্কাই করে না। অবৈধভাবে রিক্সায় ব্যাটারী লাগিয়ে চলাচল করা এই যানবাহন রাজধানীতে ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। এর যানবাহনের দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে এবং এর যন্ত্রণায় নগরবাসী অতিষ্ট।
গত বুধবার ১৫ মে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে এক সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চালাতে যেন না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিআরটিএ ভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে ওই সভায় ঢাকার দুই মেয়রও শহরের মধ্যে এসব ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধের বিষয়ে তাদের সম্মতি জানান। অতপর রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি দেয় রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ।