ডলার সঙ্কটের কারণে বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা দীর্ঘদিন থেকে পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বিপুল পরিমান বিল বকেয়া তথা টিকেট বিক্রির টাকা নিজ নিজ দেশে পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ায় বিদেশি এয়ারলাইন্স ‘সেবা’ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিেেছ। অনেক বিদেশী এয়ারলাইন্স ঢাকায় তাদের ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে বিপুল অর্থব্যয়ে নির্মিত হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে থার্ড টার্মিনাল চালু হতে না হতেই বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটাচ্ছে কিনা?
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বকেয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাংলাদেশে বিমান টিকিটের দাম বেড়েই চলছে।এ কারণে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ কিংবা টিকিট না কেটে দেশের বাইরে থেকে কম খরচে টিকিট কাটছে ও ভ্রমণ করছে। অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ অ্যাটাব মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ জানান, এই সংকটের কারণে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে ভ্রমণে টিকিটের দাম যেমন বেড়েছে, সেই সাথে টিকিট বিক্রি কমেছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ বিমানের সাবেক পরিচালক কাজী ওয়াহিদ-উল আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, এই বকেয়ার কারণে গত বছরও আইএটিএ বাংলাদেশ-পাকিস্তান ছাড়াও আরও তিনটি দেশকে নোটিশ দিয়েছিলো। গত এক বছরে সেই তিনটি দেশ এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যজনক এটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। অবশ্য বসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (ক্যাব) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান দাবি করেন, দেশে ডলার সংকটের কারণে বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টাকা আটকে গিয়েছিলো। এখন আস্তে আস্তে করে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এগুলো পাচ্ছে।

Posted inঅর্থনীতি এবং ব্যবসা বাণিজ্য এক্সক্লুসিভ