প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত সপ্তাহান্তে ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার মধ্যে একটি’ বলে অভিহিত করার পরে গতকাল ইরানের ড্রোন নির্মাতা এবং ইস্পাত শিল্পের বিরুদ্ধে নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছেন।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ইরানের চালকবিহীন বিমান তৈরির ক্ষমতাকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে তার সামরিক বাহিনী ইসরাইলে হামলা চালাতে তাদের নির্মাণে জড়িত কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের সাথে বিশ্বব্যাপী আর্থিক লেনদেন বন্ধ করা। নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের ইস্পাত শিল্পের রফতানি বন্ধের চেষ্টা করবে যা তেহরানের বিলিয়ন ডলার রাজস্ব নিয়ে আসে।মি. বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি ট্রেজারি বিভাগসহ আমার দলকে ইরানের সামরিক শিল্পকে আরো অবনমিত করে এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি, যারা ইরানের হামলাকে সক্ষম বা সমর্থন করে তাদের সকলের কাছে এটি পরিষ্কার হোক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের নিরাপত্তায় প্রতিশ্রæতিবদ্ধ’।
মি. বাইডেন বলেছেন, ৭ শিল্পোন্নত দেশগুলির গ্রæপের নেতাদের মধ্যে সমন্বয় অনুসরণ করে ব্রিটেন ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
তবে নতুন নিষেধাজ্ঞা আগের মার্কিন প্রচেষ্টার চেয়ে ইরানের সামরিক ড্রোন প্রোগ্রামকে অবনমিত করতে আরো কার্যকর প্রমাণিত হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। গত অক্টোবরে বাইডেন প্রশাসন ইরানের ড্রোন প্রোগ্রামের ওপর অনুরূপ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছিল, যা সেই সময়ে কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, ইরানের সা¤প্রতিক হামলায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছিল তা তৈরি করার ক্ষমতাকে হতাশ করার লক্ষ্য ছিল।