শত শত ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করেছে ইরান। ইসরায়েল তার অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে বেশিরভাগ ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র রুখে দিলেও বেশ কয়েকটি মিসাইল আঘাত হেনেছে ইসরায়েল ভূখন্ডে। এই অবস্থায় সকল স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, এখন থেকে শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং ইরানের হামলার কারণে মানুষের জমায়েত সীমিত রাখা হবে। এজন্য এক হাজার জনের বেশি জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হতে এবং সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন।
সিরিয়ায় ইরান দূতাবাসে হামলায় তাদের শীর্ষ কমান্ডারসহ ১৩ জন নিহতের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইসরায়েলে এই হামলা চালিয়েছে ইরান। এরই জের ধরে রোববার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর এই হামলা শুরু করে তেহরান।
হামলার সময় ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরান দুই শতাধিক মিসাইল ও ড্রোন নিক্ষেপ করে এবং এতে ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটি ‘কিছুটা’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া এতে ৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সামরিক শক্তিসম্পন্ন দেশ ইরানের হামলার হুঁশিয়ারির পর থেকে আগে থেকেই হার্ট অ্যালার্ট জারি করেছিল ইসরায়েল।
এদিকে ইসরায়েলে ইরানের হামলার কারণে নিজ নিজ আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে ইরাক, জর্ডান ও লেবানন। ইরাকি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, দেশের আকাশসীমা অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে। কোনো ফ্লাইট উড্ডয়ন বা অবতরণ করতে পারবে না। ট্রানজিটও বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া এই হামলায় মোট ১৩ জন নিহত হন। এরপরই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ইসরায়েলে হামলার ঘোষণা দেয় তেহরান।