ছাত্রলীগ থেকে নিস্তার পেতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চায়: ছাত্রদল

ছাত্রলীগ থেকে নিস্তার পেতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চায়: ছাত্রদল

ছাত্রলীগ আবরার ফাহাদকে খুন করে ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। বুয়েটের ছাত্ররা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের যে দাবি করেছে তা মূলত ছাত্রলীগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য বুয়েট বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। রবিবার (৩১ মার্চ) ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বক্তব্য জানানো হয়।

তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে সকল রাজনৈতিক দলের সহাবস্থানের ভিত্তিতে এবং ছাত্র সংসদ কেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু হলে ছাত্ররাজনীতির প্রতি সবার মনোভাব ইতিবাচক হবে।

নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি, থাকবে না সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের। চলমান বুয়েটের রাজনীতি নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের স্পিডের সাথে আমরা একমত।

এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে আবরার ফাহাদ হত্যার পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ। তবে গত বছর বুয়েট শিক্ষার্থীদের পদ দিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হলে বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনা তৈরি হয়। তখন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পুরোনো বিজ্ঞপ্তিটি আবার ওয়েবসাইটে প্রচার করা হয়।

গত বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা বলছেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালায়।

এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে গতকাল বিকেলে শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি বুয়েট প্রশাসনকে লিখিত আকারে জানান। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বুধবার মধ্যরাতের পর ক্যাম্পাসে “বহিরাগতদের” প্রবেশ ও রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন।

ইমতিয়াজকে বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার, হলের সিট বাতিলসহ তার সহযোগীদেরও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারেরও দাবি শিক্ষার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে দিচ্ছে তার ব্যাখ্যাও চেয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা। এসব দাবি আদায়ে শনি ও রবিবারের (৩০ ও ৩১ মার্চ) পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *