ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ ২০২৪
  1. অর্থনীতি এবং ব্যবসা বাণিজ্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. ইসলাম
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কলাম
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. জবস এন্ড ক্যারিয়ার
  9. জাতীয়
  10. ধর্ম
  11. বাংলাদেশ
  12. বিনোদন
  13. ব্যবসা বাণিজ্য
  14. ব্রেকিং
  15. রাজনীতি

ভর্তি পরীক্ষায় ৮৯ শতাংশ ভর্তিচ্ছুই ফেল

বাংলা ট্রিবিউন
মার্চ ২৮, ২০২৪ ৭:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, গড়ে ৪টি ইউনিটে মোট ৮৮.৯৯ শতাংশ ভর্তিচ্ছু পাসই করতে পারেননি। ভর্তিচ্ছুদের অনুধাবন শক্তি কম হওয়ায় এমন পরিস্থিতি বলে মত বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ৩টার পর অধ্যাপক আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এ ফলাফল প্রকাশ করেন।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা বিজ্ঞানের ইউনিটের ভর্তিচ্ছুদের। এই ইউনিটটিতে মাত্র ৮.৮৯ শতাংশ ভর্তিচ্ছু পাস করেছেন। কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে পাস করেছেন ১০.০৭ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে পাস করেছেন ১৩.৩৩ শতাংশ আর চারুকলায় পাস করেছেন ১১.৭৫ শতাংশ ভর্তিচ্ছু।

ফল প্রকাশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২ হাজার জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পাসের সংখ্যা ১০ হাজার ২শ ৭৫ জন। পাসের হার ১০.০৭%। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ২ হাজার ৯শ ৩৪টি।

‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ৯ হাজার ৩শ ৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পাসের সংখ্যা ৯ হাজার ৭শ ২৩ জন। পাসের হার ৮.৮৯%। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ৮শ ৫১টি।

‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষায় ৩৪ হাজার ৩শ ৬৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পাসের সংখ্যা ৪ হাজার ৫শ ৮২ জন। পাসের হার ১৩.৩৩%। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ১হাজার ৫০টি। ‘চারুকলা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষায় ৪ হাজার ৫শ ১০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পাসের সংখ্যা ৫শ ৩০ জন। পাসের হার ১১.৭৫%। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ১৩০টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে আগামী ৩ এপ্রিল বিকাল ৩টা থেকে ২৫ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে। বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারী উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের কোটার ফরম ২১ এপ্রিল ২৫ এপ্রিলের মধ্যে অফিস চলাকালীন সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে। যথাযথভাবে পূরণ করে উক্ত সময়ের মধ্যে একই অফিসে জমা দিতে হবে।

ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করা যাবে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, দুটি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একটি এমসিকিউ অপরটি লিখিত। এ লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা ভর্তিচ্ছুদের অনুধাবন শক্তিটা যাচাইয়ের চেষ্টা করি। কিছু ভর্তিচ্ছু এমসিকিউতে ভালো করেছেন, আবার কেউ লিখিতে ভালো করেছেন। এরকম ভর্তিচ্ছুরা পাস করতে পারেননি।

মুখস্থবিদ্যা নির্ভর হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অনুধাবন ক্ষমতা কম বলে মনে করেন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এ ধরনের প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভর্তি পরীক্ষা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। এ ধরনের পরীক্ষায় তাদের আরও বেশি সৃজনশীল হতে হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় থেকে ক্রমান্বয়ে প্রস্তুত করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।