আজ আমরা এমন একটি মুহূর্তে আছি, যখন ফিলিস্তিনবাসী এক দুর্বিষহ সময় পার করছে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের মূল বাসিন্দা তো আরব। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইহুদীদের এনে সেই ভূখণ্ডের দখল এনে দিয়েছে। এমনিতে যেকোনো ইসলামী ভূখণ্ডে ইহুদীরা বসবাস করলে অমুসলিম নাগরিক হিসেবে ইসলাম তাদের অধিকার নিশ্চিত করে। কেননা ইসলামী ভূখণ্ডে অমুসলিমদের জন্য ঐসকল নাগরিক সুবিধা ও অধিকার সুনিশ্চিত ও সুসাব্যস্ত রয়েছে, যা একজন সাধারণ মুসলিম নাগরিকের জন্য রয়েছে। চাই ইহুদী হোক কিংবা খ্রিস্টান, মূর্তিপূজক হোক অথবা বৌদ্ধÑ মুসলিম সরকারের প্রতি শরীয়তের নির্দেশনা হলো, তারা যদি রাষ্ট্রের নিয়ম-কানুন মেনে শান্তি, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে বসবাস করে, তাহলে তাদেরকে শুধু নিরাপত্তাই দেওয়া হবে না; বরং তাদের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রু সবকিছুর সুরক্ষা দেওয়া হবে। এমনকি স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চার অধিকারও তারা লাভ করবে।
রাসূলে কারীম (সা)যখন হিজরত করে মদীনা মুনাওয়ারায় আগমন করেন তখন সেখানকার ইহুদীদের সাথে সন্ধি করেছেন। অতএব কোনো ইহুদী যদি ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার অধীনে বসবাস করে, কোনো বিশৃঙ্খলা না করে, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখে, রাষ্ট্রের নিয়ম নীতি মেনে জীবনযাপন করে, ইসলাম তাতে কোনো আপত্তি করে না। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তুলে এনে পরিকল্পিতভাবে ইহুদীদেরকে যেভাবে ফিলিস্তিন-ভূমিতে আস্তানা করে দিয়েছে। আর সেখান থেকে মূল বাসিন্দাদেরকে ঠেলে ঠেলে; বরং ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে এটা সাধারণ কোনো বিষয় ছিল না। রাসুল (সা) এর ভবিষ্যৎ বাণী ছিলো যেঁ, ইহুদীরাই গোটা বিশ্ব শাসন করার অধিকার রাখবে। আর ইহুদীদের কেন্দ্র হবে বাইতুল মুকাদ্দাস রয়েছে। সেখান থেকে আশপাশের অঞ্চলে আক্রমণ করে করে সাম্রাজ্য বিস্তার করা হবে। এভাবে ওরা পুরো বিশ্ব শাসন করবে।
এ বিবেচনায় প্রথমে ওরা সেখানে কিছু জমি খরিদ করতে আরম্ভ করে। যাতে ইহুদীদের সেখানে এনে এনে ঘাঁটি তৈরি করা যায়। ওদের ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা ছিল গোটা বিশ্ব থেকে ইহুদীদের এনে এ অঞ্চলে একটি ইসরাইলী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তারপর আশপাশের এলাকাজুড়ে তা আরো সম্প্রসারণ। সেই পরিকল্পনাকে তারা ‘গ্রেটার ইসরাইল’ নামে অভিহিত করে। সেই গ্রেটার ইসরাইলের একটি পরিকল্পনা হচ্ছে, সীমান্ত বিস্তৃত করতে করতে মদীনা মুনাওয়ারা পর্যন্ত পৌঁছানো, নাউযুবিল্লাহ। এরপর মূল টার্গেট হল, পুরো বিশ্ব শাসন করা।
সর্বশেষ ১৯১৭ সালে বেলফোর ঘোষণার মধ্য দিয়ে খ্রিস্টান বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিন ইহুদিদের দখলে চলে যায়। এরপর ত্রিশ বছর পর্যন্ত মুসলিমরা ইহুদিদের অস্তিত্বকেই স্বীকার করেনি বরং ইহুদিদেরকে চোরের দল বলে বিশেষায়িত করা হয়েছে। এর আরো কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আরবের পূর্ববর্তী অস্বীকারকারীরাই দখলকৃত ভূমির ৮২% এর ওপর ইসরায়েলের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেয়। এটা ছিল গাজা ও পশ্চিম তীর ব্যতীত ফিলিস্তিনের সম্পূর্ণ ভূমি। অতঃপর মূল দখলদারির ৮২% ছাড়াও ইহুদিরা পশ্চিম তীর ও গাজার ৬৫% ভূমির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে চলছে নতুন ধাপ। ইহুদিরা ফিলিস্তিন থেকে মুসলিমদের অস্তিত্ব বিলীন করে দিতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খোদ রমজান মাসেও ইহুদি সমপ্রদায় ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদারিত্বের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের আজকের পরিস্থিতি যেন আন্দালুসিয়ার বাস্তব প্রতিচ্ছবি।
উসমানী খেলাফতের সর্বশেষ খলীফা ছিলেন সুলতান আবদুল হামীদ। তার কাছে ইহুদীদের একটি বড় প্রতিনিধি দল এল। তারা বলল, আপনি ফিলিস্তিনের কিছু অঞ্চল আমাদের জন্য বরাদ্দ দিন। আমরা তাতে বসবাস করতে চাই। সুলতান আবদুল হামীদ বললেন, ‘যতদিন আমি জীবিত আছি সেখানে তোমাদের সুযোগ দিতে পারি না।’ মুসলিম সমাজের আলেমগণ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যেহেতু এ পরিকল্পনা ও পেছনের ষড়যন্ত্র আঁচ করতে পেরেছিলেন, তাই তাঁরা এ থেকে নিবৃত্ত থেকেছেন।
যাইহোক, ইসরাইল তো প্রথমে ফিলিস্তিন অঞ্চলে জমি কেনা শুরু করেছিল। আফসোসের কথা হচ্ছে, যখন মুসলিমরা দেখল, ওরা মোটা অঙ্কের বিনিময়ে জমি নিচ্ছে তখন অনেকেই ওদের কাছে জমি বিক্রি করা শুরু করল। এভাবে যখন একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমি হয়ে গেল। তখন ওরা ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে স্থানীয় মুসলিমদের উৎখাত করতে শুরু করল। ব্রিটেন ও তার মিত্রগোষ্ঠীরা তো আগ থেকেই ওদের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল। বেলফোরের সেই কুখ্যাত ঘোষণার মধ্য দিয়ে ইসরাইলী রাষ্ট্রকে স্বীকৃতিও দিয়ে দিল।
ইসরাইলের সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় গোটা পশ্চিমাবিশ্ব একজোট হয়ে গেছে। যুদ্ধের শুরুতেই আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে গিয়ে বলে এসেছেনÑ যতদিন আমরা আছি, ইসরাইলের কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আমরা তাদের সঙ্গে আছি। ব্রিটেনসহ গোটা পশ্চিমা দুনিয়া সমস্বরে ইসরাইলের পক্ষ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ সেই অবৈধ সন্তানের জন্য গোটা পশ্চিমা দুনিয়া দাঁড়িয়ে গেছে। আমেরিকা থেকে ব্রিটেন এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশসহ পুরো অমুসলিম দুনিয়া এমনকি ভারতও ওদের সাথে রয়েছে। ভারত বলছে, আমরা ইসরাইলের সাথে আছি। কারণ মুসলিম দুনিয়ার প্রতি যদি লক্ষ করেন, তাহলে দেখবেন মরক্কো থেকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত ভৌগলিকভাবে পুরো মুসলিম বিশ্ব একটি শৃঙ্খলের ন্যায়। এর মাঝে কেবল দুটি প্রভাবশালী অমুসলিম রাজত্ব রয়েছে।
কিন্তু যে বিষয়টি অত্যন্ত আফসোস ও পীড়াদায়ক, তা হচ্ছে এ পরিস্থিতিতে মুসলিম দেশগুলোর ভূমিকা নিয়ে। যারা ইন্দোনেশিয়া থেকে মরক্কো পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে। যারা গাজার সীমান্ত ঘেঁষে আছে। মুসলিম দেশগুলোর মাঝে থাকা ইসরাইল যেখানে একটি বিন্দুর পর্যায়ে রয়েছে। যেখানে একসময় বলা হত, মুসলমানরা সবাই মিলে থুথু নিক্ষেপ করলেই ইসরাইল সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু আফসোস, সেই মুসলিম রাষ্ট্রগুলোই বলতে গেলে খামোশ হয়ে আছে। নতুবা নিছক মৌখিক সান্ত্বনা এবং সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বসে আছে।মুমিনগণ এক দেহতুল্য। দেহের কোনো অঙ্গ আহত হলে, কোথাও কোনো ব্যথা অনুভূত হলে গোটা শরীর রাতে ঘুমাতে পারে না। জ¦র এসে যায়। তেমনিভাবে ভূপৃষ্ঠে কোথাও কোনো মুসলিম নির্যাতিত হলে গোটা মুসলিম বিশ্ব তাতে ব্যথিত হবেÑ এটা আমাদের রাসুল(সা) এর বার্তা। কুরআনের ঘোষণা সকল মুমিন ভাই ভাই। কুরআন এ ঘোষণার মাধ্যমে জাতিগত ভেদাভেদের প্রাচীর ভেঙে দিয়েছে। বলেছে, মুমিনদের জাতি শুধু একটিই। আর তা হচ্ছে উম্মতে মুসলিমা। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই সে থাকুক না কেন, আফ্রিকায়, এশিয়ায়, ইউরোপে, মধ্যপ্রাচ্যে যেখানেই থাকুকÑ সকল মুসলিম ভাই ভাই। আর হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী ভ্রাতৃত্বের দাবি হচ্ছেÑ এক মুসলমান তার ভাইকে সহায়-সম্বলহীন অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারে না। তাকে শত্রুর মুখে ঠেলে দিতে পারে না। এটাই হচ্ছে মুসলমানের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য।
এই সংকট উত্তরণে মুসলিম উম্মাহর কিছু করণীয় হলো, ফিলিস্তিন ইস্যুটা যেন কখনোই স্তিমিত না হয় সেজন্য ফিলিস্তিন ইস্যুটাকে সঠিকভাবে বুঝতে হবে। এ ব্যাপারে মুসলমানদের মাঝে চেতনা ও জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে সংঘটিত হামলার দৃশ্য বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে। এ লক্ষ্যে নিজেদের আলাপনে, মসজিদের খুতবায়, সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে, সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়ায় সরব থাকতে হবে। মুসলমানদের জাগিয়ে তুলতে নতুন নতুন মাধ্যম আবিষ্কার করতে হবে। যেমন, গল্প তৈরি, বাচ্চাদের মাঝে ফিলিস্তিন মুক্তি চেতনা সৃষ্টির জন্য ভিডিও গেম, ফিলিস্তিনের ইতিহাসের ওপর রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যেতে পারে।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুসলিম উম্মাহকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ী হতে হবে। মুসলমানরা কখনো শক্তি সামর্থ্যের কাছে পরাজয় বরণ করেনি বরং পরাজয় বরণ করেছে নিজেদের দুর্বলতার কাছে। বর্তমানে ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আর্থিক সহায়তা। ভয়ংকর অর্থনৈতিক অবরোধ, কর্মহারা, ক্রসিং বন্ধ হওয়া, কৃষি জমি উজাড়, ঘরবাড়ি ধ্বংস, খাদ্য-বস্ত্র-অস্ত্রশস্ত্রের ঘাটতি, যুবকদের শাহাদাত বরণ, অসংখ্য নারী বিধবা হওয়ার ফলে তারা আজ দিশেহারা। সব মুসলমান চাইলেই স্বশরীরে জিহাদে অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হলেও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে জিহাদে অংশগ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। আমাদেরকে আর্থিক সহায়তার নজির স্থাপনের মধ্য দিয়ে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতার প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইহুদি সমপ্রদায় এবং তাদেরকে সাহায্যকারী পশ্চিমাদেরকে বয়কট করতে হবে। বয়কটের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা বিষয়ক অনেক প্রভাব রয়েছে। মুসলমানগণ সম্মিলিতভাবে কাফেরদেরকে বয়কট করতে পারলে তাদের টনক নড়বে। বিশ্ব ভূখণ্ডের প্রাকৃতিক সম্পদের প্রায় ৭০ শতাংশ মুসলমানদের দখলে। তাই কাফেরদেরকে বয়কট করার মধ্য দিয়ে মুসলিম উম্মাহ নিজেদের সম্পদের যথার্থ ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে হবে। কাফেরদের সাথে লড়াইয়ে মুসলমানদের একটি শক্তিশালী অস্ত্র হলো মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা। আল কোরআন ও হাদিসে বিপদাপদ ও কঠিন পরিস্থিতিতে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অনেক দোয়া শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুরা ইউনুসের ৮৫-৮৬ নাম্বার আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে জালিম কওমের ফিতনার পাত্র বানাবেন না। আর আমাদেরকে আপনার অনুগ্রহে কাফির সমপ্রদায় থেকে নাজাত দিন।’ সুরা কাসাসের ২১ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘হে আমার রব, আপনি জালেম সমপ্রদায় থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন।’
কারো অনুগত হয়ে নিজের অস্তিত্বকে বিকিয়ে দেয়া যাবে না। তাহলে একদিন নিজের পরিচয়ই থাকবে না। মুসলিম বিশ্বের জন্য এটা কাঁদা ছোড়াছুড়ির সময় নয়। বরং পরস্পর পরস্পরকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখে উন্নতি জাতি গঠনে এগিয়ে যেতে হবে। সাধ্যমতো মুসলিম পুর্ণজাগরণে কাজ করতে হবে। দোয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে। তাই সর্বত্র আল্লাহর নিকট দোয়া করতে হবে। বিশেষ করে সব ফরজ নামাজ এবং রাত্রিকালীন নামাজে।
সর্বোপরি ইমান-আকিদা ও কাজে-কর্মে প্রকৃত মুসলমান হতে হবে। সকল ক্ষেত্রে ইসলামকেই একমাত্র জীবনবিধান হিসেবে মানতে হবে। আর সাফল্যের উচ্চ শিখরে আরোহণের জন্য পার্থিব সব ধরণের সুবিধা প্রাপ্তির সুযোগ নিজেদেরই অর্জন করতে হবে। জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দক্ষতায় তাদের অন্যদের ছাড়িয়ে যেতে হবে। পবিত্র আল কুরআনে বলা হয়েছে,‘তোমরাই অবশ্যই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হও।’ অন্যদিকে আরো বলা হয়েছে,‘দুশমনদের সাথে মোকাবেলার জন্য তোমরা যথাসাধ্য শক্তি, সাজ-সরঞ্জাম ও ঘোড়া প্রস্তুত রাখবে। এ দিয়ে তোমরা আল্লাহর দুশমন ও তোমাদের দুশমনদের ভীত-সন্ত্রস্ত করবে।’ (সূরা আল আনফাল, আয়াত : ৬০)।
উল্লেখ্য যে, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ফিলিস্তিন অনেক বড় ব্যাপার। জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের প্রথম কিবলা। আল-আকসা আমাদের আবেগের জায়গা। তাই মসজিদে আল-আকসাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিন জয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব জয়ের সীদ্ধান্ত নিতে হবে। এজন্য প্রতিটি মুহূর্তেই আমাদেরকে সক্রিয় ও সচেতন থাকতে হবে। মহান আল্লাহ মুসলিম উম্মাহর জয় সুনিশ্চিত করুন। আমিন।
লেখকঃ মোঃ কামাল উদ্দিন, লেকচারার, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, আতাকরা কলেজ, কুমিল্লা।