কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ভৈরব পোস্ট অফিসের সহকারী পোস্ট মাস্টার হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীর (৫৫)। সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে আন্তঃনগর এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীর কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভৈরব পোস্ট অফিসে কর্মরত ছিলেন তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে অফিস শেষ করে সহকারী পোস্ট মাস্টার হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীর ভৈরব স্টেশন হতে আন্তঃনগর এগারোসিন্দুর গোধুলী ট্রেনে নরসিংদীর বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি নিহত হন।
জাহাঙ্গীরের চাচা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মো. শামসুদ্দিন হায়দার জানান, জাহাঙ্গীর পরিবার নিয়ে নরসিংদী থাকতেন। কুলিয়ারচরের নিজ বাড়ি থেকে এগারোসিন্ধুর ট্রেনে চড়ে নরসিংদীর বাসায় ফিরছিলেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফাইটার মোশাররফ। তিনি জানান, দুর্ঘটনাকবলিত এগারোসিন্ধুর গোধুলীর তিনটি বগি থেকে একে একে মরদেহ বের করা হচ্ছে। বগির নিচে অনেকে চাপা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা থেকে একটি কনটেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারোসিন্দুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। জগন্নাথপুর রেলক্রসিং এলাকায় এগারোসিন্দুর ট্রেনের শেষের দুই-তিনটি বগিতে কনটেইনারবাহী ট্রেন আঘাত করে। মূলত সিগনালিংয়ের কোনো জটিলতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।
ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফাইটার রাসেল বলেন, আমরা বিকেল ৪টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পাই। হতাহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে কাজ করছেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। দুর্ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। আরও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।