1. [email protected] : thebanglatribune :
নীতিমালা ছাড়াই বঙ্গবন্ধুর নামে কলেজ ভবন, পরে বাতিল - The Bangla Tribune
ডিসেম্বর ২, ২০২৩ | ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ

নীতিমালা ছাড়াই বঙ্গবন্ধুর নামে কলেজ ভবন, পরে বাতিল

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, অক্টোবর ২৩, ২০২৩

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও আমজাদ আলী মহাবিদ্যালয়ের একটি পুরনো অসম্পূর্ণ ভবনের নাম নীতিমালা ছাড়াই বঙ্গবন্ধুর নামে করা হয়। পরে ভবনটির কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর সে নাম বাতিল করে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির নামে করা হয়। অন্যদিকে কলেজটিতে সরকারি অনুদানে হওয়া পৃথক অপর ভবনের নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধুর নামে। এখন এমিলির নামে করা ভবনটির নামকরণ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

কলেজটির শিক্ষক শ্যামল কুমার রায় বলেন, কলেজ মাঠে গরুর হাটের টাকা এবং স্থানীয়দের অনুদানে হওয়া অপরিকল্পিত-অসম্পূর্ণ ভবনের নাম ‘বঙ্গবন্ধু’ রাখা হয়েছিল। এটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আপত্তির প্রেক্ষিতে সে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তিন তলা বিশিষ্ট ভবনটি কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর সে ভবনে নামকরণ করা হয় স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির নামে।

তবে স্থানীয় একটি পক্ষের অভিযোগ, আগের ভবনের নাম ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ মুছে ফেলে এমপি নিজেই সেটিকে নিজের নামে ‘সাগুফতা ইয়াসমিন ভবন’ নামকরণ করেছেন। এ বিষয়ে স্কুলের একাধিক শিক্ষক বিরোধিতা করলেও সেটি মোটেও গ্রাহ্য করেননি তিনি। তার নামেই ভবনের নামকরণ না করা হলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

শ্যামল কুমার রায় বলেন, প্রায় সমসাময়িক সময়ে কলেজটিতে সরকারি অনুদানে আরেকটি দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হয়। পরে সে ভবনের নাম বঙ্গবন্ধুর নামে করে দেওয়া হয়েছে। আগের ভবনটির আর্থিক অনুদান নিয়ে যেহেতু কথা ছিলো, তাই বঙ্গবন্ধুর সম্মানার্থে নতুন চারতলা বিশিষ্ট এ ভবনের নামে করা হয়। কিন্তু একটি শ্রেণি কেন এ নামকরণ নিয়ে বিভ্রান্তি ছাড়াচ্ছে তা তিনি জানেন না।

জানা যায়, স্থানীয়দের ব্যক্তি প্রচেষ্ঠায় ২০০৩ সালে বালিগাঁও আমজাদ আলী কলেজ নামে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। কলেজের বর্তমান সভাপতি সাগুফতা ইয়াসমিন। কলেজের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন সরকারের দৃষ্টি গোচর হওয়ায় ২০১০ সালের মে মাসে সরকার কলেজটিকে এমপিওভুক্ত করেন। বর্তমানে কলেজটিতে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৫০০ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হচ্ছে।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোফাজ্জল হোসেন বলেন, কলেজ মাঠে বসানো গরুর হাটের টাকা এবং স্থানীয়দের অনুদানে একটি ছোট আকারে ভবন তৈরি করা হয়। অনেকটা অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয় ভবনটি। পরে কিছু অতি উৎসাহী লোক না বুঝেই রেজল্যুশন ছাড়া ভবনটির নাম ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ লিখে দেয়।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020