1. [email protected] : thebanglatribune :
সাইবার নিরাপত্তা আইনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ টিআইবির - The Bangla Tribune
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ | ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ

সাইবার নিরাপত্তা আইনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ টিআইবির

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের নামে নতুন মোড়কে মূলত একই ধরনের নিবর্তনমূলক ধারা সম্বলিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) ২০২৩ তড়িঘড়ি করে সংসদে পাস করার ঘটনায় হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
নতুন এই আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই মুক্ত চিন্তা, ভিন্নমত, বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো সাংবিধানিক অধিকারসমূহকে খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ যে বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেই সাইবার অবকাঠামো, ইন্টারনেট ও সংশ্লিষ্ট সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত অনেক বিষয়কেই উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে টিআইবি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সিএসএ যেন ডিএসএর প্রতিরূপ না হয়, তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটিতে তুলনামূলক পর্যালোচনা ও সুপারিশ শীর্ষক একটি কার্যপত্রও প্রেরণ করেছিল টিআইবি। তাড়াহুড়া করে আইনটি পাস করা হলো জাতীয় সংসদে, যেখানে প্রতিশ্রুতি থাকলেও টিআইবিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের পরামর্শ ও সুপারিশ আমলে নেওয়া হয়নি।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর মাত্র আট দিনের মধ্যে তা কণ্ঠভোটে পাস করা হলো। মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো মৌলিক মানবাধিকার চর্চাকে অনেক ক্ষেত্রেই আবারও অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করা হলো, যা চরম হতাশাজনক।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা ও হামলার চেষ্টার ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো, ডোমেইন অ্যাকাউন্টস, ব্যাংক ও ডেটাবেজ থেকে সংবেদনশীল তথ্য চুরির উদাহরণ রয়েছে। প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত আইনি কাঠামো তৈরি করার বিষয়গুলোকে আইনের আওতার বাইরেই রেখে দেওয়া হয়েছে। সাইবার স্পেসে নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে ভিন্নমত দমন ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের জন্যই সিএসএর মোড়কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত কালো আইন ডিএসএকেই বাস্তবে বহাল রাখা হলো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সাইবার নিরাপত্তা আইনও সাইবার মাধ্যম ব্যবহারকারীর জন্য হয়রানি, হুমকি, আতঙ্ক ও সাইবার নিরাপত্তাহীনতাবোধ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে প্রণীত হলো।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020