রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশ থেকে ফিরে মারামারিতে জড়িয়েছে রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কর্মসূচি শেষে হলে ফেরার পর ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তারের অনুসারীদের সাথে সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমনের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একে অপরকে দায়ী করছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তার বলেন, কোনো সমস্যা হয়নি। নিচে চেঁচামেচি হচ্ছিলো পরে আমি গিয়ে সমাধান করেছি। সেরকম কিছু ঘটেনি।
তিনি আরও বলেন, একজনের ফোন ভেঙ্গে গেছে আমি সেটা ঠিক করে দিবো বলেছি। এসময় হাত কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব কিছু ঘটেনি এগুলা রুমে গিয়ে বানানো হয়েছে। এখন বানিয়ে সবাইকে দেখালে তো আমার করার কিছু নাই। আমি আসলে এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আমি নিচের চেঁচামেচি দেখে গিয়ে সবকিছু শুধু সমাধান করে দিয়েছি এর বেশি কিছু আসলে ঘটেনি। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার শাখা সভাপতি সাইমন সভাপতি সেলিনা আক্তারকে সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, আমি তখনও প্রোগ্রামেই ছিলাম এসে শুনি তারা আমার ছাত্রীদের উপড় আক্রমণ করেছে। সভাপতি সরাসরি সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং নিজে মারধর করেছেন।
তিনি আরও জানান, সভাপতি ও তার অনুসারীরা মিলে আমার ছাত্রীদেরকে অনেক মারধর করেছে সকল জায়গা তো দেখানো সম্ভব না, হাতে মুখের ক্ষত আপনারা দেখেছেন।
সভাপতি বিষয়টি অস্বীকার করার নিয়ে তিনি বলেন, মেরে তো স্বীকার করবে না আমার ছাত্রীদের অবস্থা আমি দেখেছি তাদের শরীরে থাপ্পর এবং লাথি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান সভাপতির তাদের প্রতি আগে থেকেই ক্ষোভ ছিলো। সেই ক্ষোভ থেকেই হয়তো এ ঘটনা ঘটিয়েছে।