চোখের সুস্থতায় যেসব খাবার খাবেন

চোখের সুস্থতায় যেসব খাবার খাবেন

দেহের সংবেদনশীল অঙ্গ চোখ। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনের কর্মব্যস্ততার প্রভাব পড়ে আমাদের চোখের ওপর। বিশেষ করে গরমে আর বর্ষায় চোখের সমস্যা বাড়ে। একটানা বই পড়া অথবা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপের অতিরিক্ত ব্যবহার চোখের দৃষ্টিশক্তি কমায়।
এ ছাড়া বার্ধক্যজনিত কারণে বা ভিটামিনের অভাবে হতে পারে চোখের রোগ। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে চোখের রোগ প্রতিরোধ করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ধরনের খাবার চোখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে—
ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। তাই চোখের জন্য ভিটামিন ‘এ’ যুক্ত খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। ডিম, গরুর কলিজা, ঘি, মাখন ভিটামিন ‘এ’-এর ভালো উৎস। দুধ ও দইয়েও আছে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ এবং জিংক। জিংক লিভার থেকে চোখের রেটিনায় ভিটামিন ‘এ’ অণু পৌঁছে দিতে সহায়তা করে।
এ ছাড়া গাজর, মিষ্টি আলু এগুলোতে ভিটামিন ‘এ’-এর সঙ্গে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই ২ উপকারী উপাদান আমাদের চোখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।

ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন ‘সি’ চোখের কোষ নষ্ট হওয়া রোধ করে। রক্ত চলাচলের জন্য এই ভিটামিনটি গুরুত্বপূর্ণ। চোখে রক্ত চলাচল ভালো হলে সংক্রমণ কম হয়। কমলালেবু, লেবু, টমেটো, পেয়ারা, স্ট্রবেরি এগুলো ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার। এগুলো চোখের প্রদাহ কমায়।
ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ খাবার
বাদাম, চিংড়ি, অলিভ অয়েলে ভিটামিন ‘ই’ পাওয়া যায়। চোখের পানি পড়া রোধ করতে ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার
রুই, কাতলা, ইলিশ, মাগুর, সামুদ্রিক মাছ, ফ্ল্যাক্স সিড অয়েল থেকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডপাওয়া যায়। এগুলো চোখ ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয়।
বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি
বেদানা, আম, জাম তরমুজ জাতীয় ফল, চেরি, কাঁচা ও পাকা পেঁপে চোখের জন্য উপকারী। এ ছাড়া পালং শাক, কচু শাক ও অন্য সবুজ শাকসবজি চোখের জন্য ভালো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *