সময়টা বেশি আগের নয়। বছর খানেক আগেই খুব কম মানুষই জানতেন সৌদি আরবের ফুটবল লিগের হালচাল। কিন্তু হুট করেই ফুটবলে আমূল পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশটি। জাতীয় দল তো বটেই, বিশ্বের তারকা ফুটবলারদের বিপুল অর্থে নিয়ে এসে ঢেলে সাজাচ্ছে তাদের ঘরোয়া ফুটবল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, কারিম বেনজেমা, নেইমার জুনিয়রদের মতো তারকা ফুটবলার এখন খেলেন দেশটির বিভিন্ন ক্লাবে।
নিজেদের যে ফুটবলের পরাশক্তি বানাতে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন উঠেপড়ে লেগেছে সেটি বুঝতে রকেট সায়েন্স জানার দরকার হয় না। ফুটবল বোদ্ধারাও এমনটাই মনে করছেন। তাদের মতে সৌদির ধনকুবেরা তাদের বিপুল অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে ফুটবলের বাজার নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমনকি ইউরোপের ক্লাবগুলোর জন্য রীতিমত অশনি সংকেত পাঠাচ্ছে সৌদি ক্লাবগুলো। ইউরোপের ক্লাবগুলোর চেয়ে বেশি অর্থ লগ্নি করে শক্তিশালি লিগ বানানোর পথেই হাঁটছে সৌদি আরব, এমনটাই মনে করছেন ফুটবল বিশ্লেষকেরা।
অর্থ লগ্নির পাশাপাশি নিজেদের দেশের নিয়ম কানুনেও পরিবর্তন আনতে বিন্দুমাত্র পিছপা হচ্ছে না তারা। বিদেশি তারকাদের দলে আনতে ইসলামের শরিয়তের ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়া দেশটির সরকার তাদের দেশ পরিচালনার নিয়ম কানুনেও পরিবর্তন আনছে।
কট্টর মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ায় এতদিন সৌদি আরবে বিয়ে বহির্ভূত কোনো সম্পর্কে জড়াতে পারতো না দেশটির বাসিন্দারা। বিয়ের আগে একত্রে ছেলে মেয়ের থাকার বিষয়টা তো কল্পনাতেও ভাবা যেতো না। কিন্তু সাম্প্রতিকসময়ে সেই নিয়মটিতে এসেছে বদল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমার জুনিয়রের জন্য দেয়া হয়েছে ছাড়। শরিয়তকে পাশে রেখে বিয়ে না করেই প্রেমিকাদের নিয়েই দিব্বি একসঙ্গে বসবাস করছেন তারা।
পাশাপাশি বিদেশি তারকাদের প্রেমিকারা খোলামেলা পোশাকেই ঘুরে বেড়ান দেশটিতে। যদিও মেয়েদের পোশাক পরিধানে কঠোর বিধান রয়েছে সেখানে। এমনকি তাদের স্বল্প বসনে দেখাও যায় স্টেডিয়ামের গ্যালারীতে। সব কিছুই তারা বিসর্জন দিয়েছে কেবল ফুটবলের জন্যে।