স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বার্বি ফিট চ্যালেঞ্জ নামে একটি নতুন সোশ্যাল মিডিয়া চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, যা নেটিজেনদের মধ্যে ইদানীং বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। চ্যালেঞ্জটি হলো গ্রেটা গারউইগের ফিল্ম বার্বি’র মাধ্যমে তৈরি হওয়া নতুন উন্মাদনা। এই ট্রেন্ড বিশ্বব্যাপী অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। অনেকেই এখন গোলাপি রঙের সঙ্গে মানানসই বার্বি ফিট-এর ছবি তুলে পোস্ট করছেন।
বার্বি ফুট চ্যালেঞ্জে মহিলারা তাদের হাঁটুর নিচের থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত অংশের ছবি তুলছেন। সুন্দর পায়ের ছবি পোস্ট করছেন, যা আইকনিক বার্বি ডলের মতো দেখতে লাগছে। গ্রেটা গারউইগের ফিল্ম বার্বি’র একটি দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে, মার্গট রবির পা তার জুতোর হিল থেকে পিছলে গেলেও তার পা একই অবস্থানে রেখে হাঁটছেন। এই দৃশ্যই এখন রীতিমতো ভাইরাল!
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে, এই প্রবণতা শারীরিক এবং মানসিক উভয় ধরনের স্বাস্থ্যের ওপরেই ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, বার্বি ফিট ভঙ্গি পায়ের পেশী এবং জয়েন্টে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে ব্যথা এবং সম্ভাব্য আঘাতের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।
বার্বি ফুট চ্যালেঞ্জ শরীরের জন্য ক্ষতিকর
আকাশ হেলথকেয়ারের অর্থোপেডিকস ও জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং প্রধান ডা. আশিস চৌধুরী বলেন, ভাইরাল হওয়া এই আবেদনময়ী পোজটি স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই নিজেদের লম্বা-ছিপছিপে পায়ের ছবি বার্বি ডলের মতো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন৷ তবে, এই ভঙ্গি বা পা তৈরির চেষ্টা শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ইন্ডিয়াটুডে ডটইনকে জানিয়েছে।
পায়ের পেশীর ওপর প্রভাব-বার্বি ফিট চ্যালেঞ্জে ঘন ঘন অংশগ্রহণ পায়ের পেশীতে যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করতে পারে। চিকিৎসকদের দাবি, এর ফলে পায়ের পাতার সামনের অংশের উপর দাঁড়ানোর জন্য মারাত্মক চাপ দিয়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজন। এই দীর্ঘ সময় ধরে পায়ের পেশীর উপর এই অসম্ভব চাপ ক্লান্তি এবং অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও মাঝে মধ্যে বার্বি ফুট চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ গুরুতর ক্ষতির কারণ নাও হতে পারে। তবুও এই চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণকারী মহিলারা প্রায়শই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ঝুঁকি নেন, যা তাদের পায়ের পেশীতে এবং পায়ের অন্যান্য অংশে আঘাতের আশঙ্কা বাড়ায়।
হাড়ের উপর বার্বি ফুট চ্যালেঞ্জের প্রভাব-বার্বি ফুট চ্যালেঞ্জের ফলে পায়ের পাতার সামনের অংশের ওপর বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর গোড়ালির আর পায়ের পাতার হাড়ের ওপর অনেকটা চাপ পড়ে। বারবার গোড়ালির আর পায়ের পাতার হাড়ের ওপর অনেকটা চাপ পড়ে। বারবার গোড়ালির আর পায়ের পাতার হাড়ের ওপর এই ধরনের চাপ পড়ার ফলে মাইক্রো-ফ্র্যাকচার এবং স্ট্রেস ইনজুরি হতে পারে।