চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৬ মাস বহিষ্কৃত হওয়ার পরও ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিব্যি ঘোরাফেরা করছেন। অংশ নিচ্ছেন ক্লাস-পরীক্ষায়। এজন্য তারা নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাসুদ ও উপ দপ্তর সম্পাদক আরাফাত হোসেন।
এর আগে গত ১৯ জুন চবির স্টেশন এলাকার একটি চায়ের দোকানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক দোস্ত মোহাম্মদকে বেধড়ক মারধর করে নেতাকর্মীরা। এতে জড়িত ছিলো দুই নেতাসহ ৮-১০ জন কর্মী। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য দোষীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে মামলা করার আশ্বাস দেন। কিন্তু তা করা হয়নি।
পরবর্তীতে দোষীদের ছয় মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কারের পরও দোষীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে অংশগ্রহণ ও হলে অবস্থানসহ ক্যাম্পাসে সক্রিয়। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী।