কলার মোচার যত পুষ্টিগুণ

কলার মোচার যত পুষ্টিগুণ

কলা গাছের প্রায় প্রতিটি অংশই কোনো না কোনোওভাবে ব্যবহার করা যায়। ফুল, ফল থেকে শুরু করে পাতাগুলোও ব্যবহার করা হয়। মোচার ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই থাকে। এটি কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। মোচার উপকারিতা, যাই বলুন না কেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। বাড়িতে মোচা দিয়ে বিভিন্ন রকমের পদ রান্না করা হয়। দেখতে সুন্দর, স্বাদেও অতুলনীয়। মোচার ঘণ্ট, ভর্তা, মোচার কোফতা, মোচার চপ।
বিশেষজ্ঞরা এর নানা উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন, দেখে নিন সেগুলো-
উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখে কলার মোচা
মোচা ভিটামিনের উৎস: এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই ভরপুর থাকে কলার মোচাকে। আর অবশ্যই ফাইবারের জোগান ভরপুর থাকে কলার মোচাতে। ফলে শরীরের জন্য এই খাবার কতটা উপকারী, তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের ডায়েটে নিয়ম করে রাখুন কলার মোচা। চিকিৎসকরা ওষুধের পাশাপাশি ডায়েট হিসেবে মোচার উল্লেখ করেন।
উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখে মোচা: যদি আপনার মুড সুইংয়ের সমস্যা থাকে অথবা ছোট-বড় সব বিষয় নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, তাহলে আজ থেকেই ডায়েটে রাখুন কলার মোচা। কারণ এটি মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে মোচা। অ্যান্টি ডিপ্রেশনের জন্য আলাদা করে কোনও ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। কলার মোচা খেলে তা প্রাকৃতিক ভাবেই আপনার ডিপ্রেশন কাটাতে সাহায্য করবে।
মোচার পুষ্টিগুণ: কলার মোচার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান পুষ্টিগুণে ভরপুর। বিশেষজ্ঞর জানিয়েছেন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার, ক্যালসিয়ান, ফসফরাস, আয়রন, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই দ্বারা সমৃদ্ধ কলার মোচা।

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মোচার ফুল একটি মহাঔষধ: ডায়াবিটিস এখন প্রায় সব ঘরের কহানি। আবার বহু মহিলা অ্যানিমিয়াতেও ভোগেন। আর এই দুই ক্ষেত্রেই কলার মোচার উপকারিতা অপরিসীম। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে এর জুরি মেলা ভার। আবার দেহের হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয় মোচা। যার ফলে অ্যানিমিয়া সেরে যায়।
চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক: চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে মোচা। বিভিন্ন হেয়ার কন্ডিশনরের মধ্যে এই সিলিকার উপাদান থাকে। যাতে চুলের ভলিউম বেশি মনে হয়, চুল সফট হয়। কলার মোচা প্রাকৃতিক উপায়েই এই সব উপকার করে। তাই দেরি না করে আজই ব্যবহার করুন।
ফ্রি র‍্যাডিক্যালের সমস্যা দূর করে: নিয়মিত মোচা খেলে রক্তে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের সমস্যা কমে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়া রুখে দেয়। মোচা খেলে অ্যালঝাইমার্স ও পারকিনসন্সের ঝুঁকি কমে।
জরায়ু সুস্থ রাখে: হলুদ, গোলমরিচ গুঁড়ো ও জিরা দিয়ে মোচা সেদ্ধ করে খেলে জরায়ু সুস্থ রাখে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *