দেশের ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিতে উদগ্রীব : কোম্পানীগঞ্জে ওবায়দুল কাদের

দেশের ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিতে উদগ্রীব : কোম্পানীগঞ্জে ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি বুঝতে পেরেছে ভোট দিলে এখন আওয়ামী লীগই জিতবে। বাংলাদেশের ৭০ পার্সেন্ট মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। আমি যা বললাম বাস্তবে সেটা দিনক্ষণ লিখে রাখুন। কিছই তো দেখেন না। উন্নয়ন দেখেন না। নিজেরা তো কিছু করতে পারেন না। শেখ হাসিনা করেছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল। দেখলে বিএনপি নেতাদের বুকের জ্বালা বাড়ে।’ গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর মিলনায়তনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন তিনি।

স¤প্রতি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশি প্রতিনিধিদের মন্তব্য প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হবে নির্বাচনের জন্য। বাংলাদেশে কারো ফরমায়েশে নির্বাচন হবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’ ‘তত্ত¡াবধায়ক মরে গেছে আদালতের রায়ে। এটাকে আর জীবিত করে লাভ নেই। দুনিয়ার সব দেশে তত্ত¡াবধায়ক ছাড়া ইলেকশন (নির্বাচন) হয়। বাংলাদেশে কেন ইউরোপ-আমেরিকার নেতারা আসে? তাদের আমি জিজ্ঞাসা করি, আপনাদের কোন দেশে তত্ত¡াবধায়কে ভোট হয়েছে? ইউরোপও বলতে পারেনি, আমেরিকা বলতে পারেনি। অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য ভোট করব এ প্রতিশ্রুতি আমি দিতে পারি। গণতান্ত্রিক বিশ্বকে বলব, পর্যবেক্ষক দিয়ে এই ভোট পর্যবেক্ষণ করুন।’ বিদেশিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ঢাকা ১৭ আসনের নির্বাচন দেখলেন। এটা মাইনোর সিট অথচ পাঁচটি সিটিতে ইলেকশন হলো শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু। ওই নির্বাচনে ৫০ থেকে ৫৩ পার্সেন্ট ভোট পড়ল।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত¡াবধায়ক সরকার আসলে নাকি আওয়ামী লীগ ১০ আসন পাবে না। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ফখরুল ও তার নেত্রী খালেজা জিয়া আওয়ামী লীগকে ৩০ আসন দিয়েছিল। অথচ আল্লাহর হুকুমে তারাই ৩০ আসন পেয়েছিল। এবার যে কি হবে জানি না। এবার তারা আরও বেপরোয়া ও বেসামাল হয়ে গেছে। ইউরোপ এসেছে, আমেরিকা এসেছে। বিএনপি ভেবেছিল তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ সরকারকে বিদায় করে দিবে। ফলাফল কি হলো, পাইলেন ঘোড়ার ডিম। নালিশ পার্টি বিএনপি, নালিশ করতে করতে এখন দেখছে নালিশে কোন কাজ হচ্ছে না। বিএনপি খাই খাই পার্টি। ক্ষমতার জন্য এতই বেপরোয়া হয়ে গেছে এখন তাদের আর ক্ষমতার দরকার নেই, তাদের একটি মাত্র লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জানি মির্জা ফখরুল ইসলাম একজন সর্জ্জন ব্যক্তি। আমার পিতা শিক্ষক ছিলেন, মির্জা ফখরুলও কলেজের শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু ফখরুলের কথাবার্তা এত বেসামাল, এত মিথ্যা কথা বলতে পারেন, তার মুখে এত বিষ, এত গালিগালাজ করতে পারেন মনে হয় তিনি প্যাথলজিক্যাল লায়ার। ফখরুল ইসলাম একজন মিথ্যাবাদী।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ৪৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা মানে উন্নয়ন। স্বাধীনতার পর কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলে ভাঙন রোধে কেউ ক্রসড্যাম নির্মাণ করতে পারে নাই। অথচ গত মঙ্গলবার একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলে ভাঙন রোধে ক্রসড্যাম নির্মাণের জন্য ৫৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। নোয়াখালীতে আমরা যত উন্নয়ন করেছি, সব উন্নয়ন দৃশ্যমান, মানুষ উন্নয়ন চোখে দেখছে। আগে নোয়াখালী ছিল অন্ধকারে, এখন শেখ হাসিনার উসিলায় পুরো বৃহত্তর নোয়াখালী আলোকিত হয়ে গেছে। আগে বৃহত্তর নোয়াখালী ছিল বিএনপির ঘাটি, এখন কাজ করে আমরা আওয়ামী লীগের ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ৭০ পার্সেন্ট মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে ।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *