1. mskamal124@gmail.com : thebanglatribune :
  2. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
র‌্যাবকে অতীত-বর্তমান অপকর্মের জবাবদিহি করতে হবে : উজরা জেয়া - The Bangla Tribune
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ | ৩:৩৮ পূর্বাহ্ণ

র‌্যাবকে অতীত-বর্তমান অপকর্মের জবাবদিহি করতে হবে : উজরা জেয়া

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, জুলাই ১৫, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, র‌্যাবের অতীত-বর্তমান অপকর্মের জবাবদিহি করতে হবে এবং র‌্যাবের অর্থবহ সংস্কার করতে হবে। বাংলাদেশ সফর শেষে গতকাল ইউএনবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি যে বার্তার উপর জোর দিতে চাই তা হলো সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করে সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও ন্যায্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানানো। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করে সত্যিকারের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে উজরা জেয়া বলেন, আমি যে বার্তার উপর জোর দিতে চাই তা হলো সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করে সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও ন্যায্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানানো। আসুন আমরা বাংলাদেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দিই। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনকে সমর্থন করা। তবে সম্ভাব্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা বর্জনের প্রশ্নগুলো বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, এ বিষয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা দেখছি না। আমি শুধু বলতে চাই যে আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিই না।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে একযোগে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বলে জানান জেয়া। এক্ষেত্রে সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া মানবাধিকার লংঘনের জন্য জবাবদিহি এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে জানান জেয়া। বাংলাদেশে আসার আগে তার ভারত সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনার অংশ হিসেবে সফর করেছেন। পাশাপাশি তিব্বত ইস্যুতে বিশেষ সমন্বয়ক হিসেবে তার দ্বৈত ভূমিকার অংশ হিসেবে ভারত সফর করেছেন। তিনি বলেন, সুতরাং এই বিষয়ে আমি বলব, এই সপ্তাহের বৈঠক থেকে আমি আরও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য সুবিধার ক্ষেত্রে আমাদের ৩ সরকারের মধ্যে সম্মিলন দেখতে পাচ্ছি; যা আরও স্থিতিস্থাপক, সংযুক্ত, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ।
র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া : ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি সিদ্ধান্ত ও তথ্যের ‘সতর্ক গবেষণা ও বিবেচনার’ ফল। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে, এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের ঘটনা হ্রাসের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছি। তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, অতীত ও বর্তমানের অপকর্মের জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে র‌্যাবের অর্থবহ সংস্কার করতে হবে। সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে এগুলো বিবেচনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা মানবাধিকার, ত্রুটি ও অপব্যবহারের উপর আলোকপাত করার জন্যও কাজ করেন; যাতে তারা অন্যের অধিকার লংঘনকারীদের সংশোধন করতে পারেন এবং জবাবদিহি করতে পারেন।
বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে সহায়তা এবং অংশীদারত্বকে আরো গভীর করার প্রত্যাশা নিয়ে গতকাল শুক্রবার ভোরে ঢাকা ছাড়ার আগে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের অংশীদারিত্ব বিস্তৃত। এটা প্রভাবশালী। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধি-নিষেধ নীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত অঙ্গীকারকে সমর্থন করতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের আলোচনায় এটি খুব ইতিবাচকভাবে এসেছে।
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জেয়া বলেন, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাতে সরকারের উদারতা সম্পর্কে সচেতন। সুতরাং আমরা মূল্যায়ন করছি এবং আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব। এটি যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে করে থাকে।
ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল : মার্কিন কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে একটি ইন্দো-প্যাসিফিককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী যা মুক্ত এবং আরও সংযুক্ত, স্থিতিস্থাপক, সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত।
এ বিষয়ে তিনি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করেন; যাতে তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও সুদৃঢ় সহযোগিতায় রূপান্তর করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে এই সহযোগিতা করা হয়েছে। আন্তদেশীয় অপরাধ, বিশেষ করে মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি।’
জেয়া বলেন, তারা মানব পাচার বন্ধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফ্রিডম ফান্ড এবং এর অংশীদারদের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান ঘোষণা করেছেন আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া। তিনি বলেন, সুতরাং আমি মনে করি, এটি কেবল একটি উদাহরণ যেখানে আমরা কংক্রিট উপায়ে আরও মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো প্যাসিফিক গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করতে পারি। সুতরাং আগামী দিনগুলোতে সহযোগিতার জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনার জায়গা রয়েছে। আমি পুরোপুরি তাই বিশ্বাস করি।
ই প্রোগ্রাম পাচারের হাত থেকে রক্ষা করা ৫০০ এর বেশি শিশুকে পুনর্বাসনে পরিষেবা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানব পাচার মোকাবিলায় সরকার ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে কাজ করতে নিবেদিত। তিনি বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে আরও মুক্ত ও উন্মুক্ত করতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমাদের অংশীদারত্ব অভিন্ন গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পরিকল্পনা বা প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র এ কূটনীতিক বলেন, এ বিষয়ে আমি খুবই স্পষ্ট করে বলতে চাই। এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের সম্ভাব্য ইজারা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020