নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক

নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক

নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মামলার আসামিরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম, সাবেক উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আ ফ ম আখতার হোসেন, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান শওকাত আলী। জানা যায়, ২০২০ সালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান এবং কার্ডিওগ্রাফারসহ দুই হাজার ৭৯৮টি শূন্যপদে জনবল নিয়োগে ছাড়পত্র প্রদান করে সরকার। এসব পদে ৭২ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেন। এর পর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন চার হাজার ৪৫৩ জন। ওই নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ উঠলে এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত খাতা, টেবুলেশন শিট ও অন্যান্য উপকরণ পরীক্ষার পর দুই হাজার ৪১১টি উত্তরপত্রে একাধিক স্ট্যাপলিং করা ছিদ্র এবং পেন্সিলে লেখা বিভিন্ন ধরনের সংকেতের মাধ্যমে জালিয়াতি ও অনিয়মের প্রমাণ বেরিয়ে আসে। অনুসন্ধানে বেশকিছু পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় ৭৮ থেকে ৭৯ নম্বর পেলেও মৌখিক পরীক্ষায় খুবই খারাপ করে। অন্যদিকে লিখিত পরীক্ষায় অপেক্ষাকৃত কম নম্বর (৪০-৫৫) পাওয়া পরীক্ষার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করেন। স্কুলশিক্ষক আবদুর রশিদ ও অধ্যাপক শওকাত পরীক্ষার দিন সদস্যসচিব আ ফ ম আখতার হোসেনের কাছ থেকে পরীক্ষার খাতাগুলো গ্রহণ করেন। তারা পরীক্ষার পরবর্তী রাত বা দিনে বিকল্প খাতায় নতুন করে প্রশ্নের উত্তর লিখে তা অফিসিয়ালি সরবরাহ করা খাতায় প্রতিস্থাপন করেন। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ১৫-২০ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রদানের শর্তে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করা হয়।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *