হোটেলে ফাও খেলেন ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

চাঁদা না পেয়ে হোটেলে ফাও খেলেন ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা
চাঁদা না পেয়ে হোটেলে ফাও খেলেন ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা  © ফাইল ছবি

দাবিকৃত ১০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে ফ্রি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ও হল শাখার তিনজন নেতার বিরুদ্ধে। গত রবিবার (০৭ মে) দোকান মালিক এনায়েত রেজা এমন অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগের সাথে জড়িত সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। 

গত ৬ মে (শনিবার) রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত ‘কবির হোটেল’ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা। চাঁদা না পেয়ে দুই দফায় ১৪ হাজার টাকার খাবার খেয়ে আসেন তারা। পরে এদের মূল হোতা  তিনজনকে চিহ্নিত করেছেন ভুক্তভোগী এই দোকান মালিক ও ম্যানেজার ইলিয়াস হোসেন।

চাঁদা দাবি করা ছাত্রলীগের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক উপসম্পাদক সাকিবুল সুজন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক উপসম্পাদক সিফাত আহমেদ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শাহবাগ থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেবেন বলেও জানিয়েছেন দোকান মালিক পক্ষ।

এদিকে অভিযুক্ত সাকিবুল সুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী এবং সিফাত আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের উভয়ই ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী। অন্যদিকে আরিফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের একান্ত ঘনিষ্ঠজন।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, গত ৫ মে সন্ধ্যায় কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া যুবক তাদের হোটেলে আসে। তারা ম্যানেজার ইলিয়াস হোসেনকে বলে, এখানে হোটেল ব্যবসা করতে হলে আমাদের প্রতি মাসে ১০ হাজার করে টাকা চাঁদা দিতে হবে। এসময় ম্যানেজার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় টাকার ব্যবস্থা করে যোগাযোগের জন্য শাকিবুল সুজন নামের একজনের মোবাইল নাম্বার দিয়ে যায়।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *