চতুর্থ উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন মার্ক চাপম্যান ও টম লাথাম। এই দুই ভয়ংকর ব্যাটসম্যান থিতু হয়ে গিয়েছিল করাচির ২২ গজে। তখন নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২০ রান, হাতে ছিল ৭ উইকেট ও ৯৬ বল। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের ভাগ্য হেলে ছিল কিউইদের দিকে। ওয়ানডেতে এমন সমীকরণ থেকে ম্যাচ জেতাটা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোন ব্যাপারই না। এই জুটি ভাঙতে নাসিম শাহকে বোলিংয়ে ফেরান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথম বলেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে চাপম্যানের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন নাসিম। এরপর প্রায় জেতা ম্যাচটা হাত থেকে ফসকে যায় কিউইরা। পরশু রাতে পাকিস্তানের দেওয়া ২৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ বল আগেই ২৬১ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ২৬ রানে তৃতীয় ওয়ানডে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিল বাবরের দল।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে নিউজিল্যান্ড। সাবলীল ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের বোলিং সামাল দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন উইল ইয়াং ও টম ব্লান্ডেল। রান আউটে বিচ্ছিন্ন হন দুই ওপেনার। ৩ চারে ৩৩ রান করে ফিরে যান ইয়াং। এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ক্রমে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সফরকারীরা।
দুইবার জীবন পেলেও আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ড্যারিল মিচেল টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ছক্কার চেষ্টায় সীমানায় ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ২১ রানের ইনিংস। খুব ঝুঁকিপূর্ণ দুই রান নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট হয়ে যান ব্লান্ডেল। এই ওপেনার ৬৫ রান করেন ৭ চারে। তার বিদায়ে আরও কমে যায় রানের গতি। চ্যাপম্যান ও হেনরি নিকোলসের দ্রুত বিদায়ের পর ফিরে যান এক প্রান্ত আগলে রাখা ল্যাথামও। কিউই কাপ্তান সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৪৫ রান। শেষ দিকে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান কিছুটা কমান একবার জীবন পাওয়া কোল ম্যাকনকি। অভিষেকেই ৪৫ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা স্বাগতিক পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেনি ওপেনিং জুটি। ১৯ রান করে আউট হন আগের ম্যাচে ১৮০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা ফখর জামান। এই বাঁহাতি হার্ড হিটার চলমান সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ সহ টানা তিন ইনিংসে তিন অংকের দেখা পান। তবে পরশু মাত্র ১৯ রানে আউট হওয়ায়, ওয়ানডেতে কুমার সাঙ্গাকারার টানা চারটি শতকের রেকর্ড ভাগ বসাতে পারলেন না ফখর। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে অনন্য এই কীর্তি গড়েন সাঙ্গাকারা।