এছাড়া প্রতিবার শিশুকে শেখানোর আগে তার মানসিকতা কেমন রয়েছে, এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে দোলনায় দোলাতে-দোলাতে শিশুকে বিভিন্ন ছড়া শেখানো যেতে পারে। চাইলে ইংরেজি, বাংলা বর্ণমালা সংবলিত প্লাস্টিকের কার্ড, খেলনা, ছবিযুক্ত বিভিন্ন প্লাস্টিকের বইও শিশুকে এনে দিতে পারেন।
বর্ণমালা শেখানোর সময় প্রাণীদের পরিচয় ও তাদের আচরণ শিশুর সামনে অভিনয় করে দেখাতে পারেন। তবে শিশুরা ভয় পেতে পারে এমন কোনো ভয়ঙ্কর আচরণ শিশুর সামনে করা যাবে না। এভাবে প্রতিদিন শিশুকে রুটিনমাফিক সময় দিন। তাহলে শিশু অনেকটাই শিখবে এবং তা ব্যবহারের চেষ্টা করবে।’
এছাড়া তিনি যেসব শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পায়, তবে খেলতে খুব পছন্দ করে তাদের জন্য স্কুলে আনন্দময় খেলার পরিবেশ তৈরির করা প্রতি গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছেন। সেখানে শিশুদের জন্য সব রকম শিক্ষামূলক খেলনা রাখতে পারেন।
এছাড়া শিশুদের অঙ্কন, গান ও অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলার দিকে জোড় দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মাজেদা হাসান।
পরিশেষে তিনি বলেন শিশুদের সবসময় বড়দের কাছ থেকে শিখতে হবে এমনটি নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিশুরাই শিশুদের শেখাতে পারে। তাই দুটি শিশুকে একসঙ্গে বসিয়ে তাদের শেখাতে পারেন। শিখিয়ে দেওয়া শিশুদের মধ্যে একটি শিশু আরেকটি শিশুকে প্রশ্ন করতে পারে। পরস্পরের কাজে সাহায্য করতে পারে। এতে একজনের শেখার আগ্রহ দেখে আরেকজনের শেখার আগ্রহ সৃষ্টি হবে এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।