1. [email protected] : thebanglatribune :
শিশুরা খেলতে খেলতে শিখে - The Bangla Tribune
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩ | ৪:২১ অপরাহ্ণ

শিশুরা খেলতে খেলতে শিখে

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, মে ১, ২০২৩

শিশু

সাধারণত দু্ই থেকে আড়াইবছর বয়স থেকেই শিশুরা কিন্তু শেখা শুরু করে। তবে এই বয়সের শিশুকে বোঝাতে বা শেখাতে  আলাদা কৌশলের প্রয়োগ প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই শিশুর ভালোলাগার জায়গাটিকে প্রাধান্য দিতে হবে। যেহেতু সব শিশুই খেলতে খুব পছন্দ করে, তাই সে অনুযায়ী শিশুকে খেলার মাঝেই শেখাতে বা পড়াতে বসাতে পারেন।

খেলার ছলে শিশুকে কীভাবে শেখাবেন সে সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন শিশু শিক্ষা বিষয়ে গবেষক এবং ‘খেলতে খেলতে শিখি’ প্রিস্কুলের প্রধান কনসালটেন্ট এবং শিক্ষিকা মাজেদা হাসান। তিনি বলেন, ‘ঘরের কোমলমতি সোনামণিদের ছোট থেকে শেখাতে হলে প্রথমেই মা-বাবাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এরপর তাকে শেখানো শুরু করতে হবে।

তিনি বলেন শিশুকে শেখানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে, তাকে খেলতে খেলতে শেখানো। এক্ষেত্রে শিশুদের জন্য এমন সব খেলনা নির্বাচন করতে হবে যা থেকে শিশুরা শিখতে পারবে আবার তার খেলায়ও কোনো অসুবিধা হবে না।

এছাড়া প্রতিবার শিশুকে শেখানোর আগে তার মানসিকতা কেমন রয়েছে, এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে দোলনায় দোলাতে-দোলাতে শিশুকে বিভিন্ন ছড়া শেখানো যেতে পারে। চাইলে ইংরেজি, বাংলা বর্ণমালা সংবলিত প্লাস্টিকের কার্ড, খেলনা, ছবিযুক্ত বিভিন্ন প্লাস্টিকের বইও শিশুকে এনে দিতে পারেন।

শিশু

বর্ণমালা শেখানোর সময় প্রাণীদের পরিচয় ও তাদের আচরণ শিশুর সামনে অভিনয় করে দেখাতে পারেন। তবে শিশুরা ভয় পেতে পারে এমন কোনো ভয়ঙ্কর আচরণ শিশুর সামনে করা যাবে না। এভাবে প্রতিদিন শিশুকে রুটিনমাফিক সময় দিন। তাহলে শিশু অনেকটাই শিখবে এবং তা ব্যবহারের চেষ্টা করবে।’

এছাড়া তিনি যেসব শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পায়, তবে খেলতে খুব পছন্দ করে তাদের জন্য স্কুলে আনন্দময় খেলার পরিবেশ তৈরির করা প্রতি গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছেন। সেখানে শিশুদের জন্য সব রকম শিক্ষামূলক খেলনা রাখতে পারেন।

শিশু

এছাড়া শিশুদের  অঙ্কন, গান ও অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলার দিকে জোড় দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মাজেদা হাসান।

পরিশেষে তিনি বলেন শিশুদের সবসময় বড়দের কাছ থেকে শিখতে হবে এমনটি নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিশুরাই শিশুদের শেখাতে পারে। তাই দুটি শিশুকে একসঙ্গে বসিয়ে তাদের শেখাতে পারেন। শিখিয়ে দেওয়া শিশুদের মধ্যে একটি শিশু আরেকটি শিশুকে প্রশ্ন করতে পারে। পরস্পরের কাজে সাহায্য করতে পারে। এতে একজনের শেখার আগ্রহ দেখে আরেকজনের শেখার আগ্রহ সৃষ্টি হবে এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020