1. [email protected] : thebanglatribune :
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম একটি বিশ্লেষণ - The Bangla Tribune
মার্চ ২৮, ২০২৪ | ৩:৪৬ অপরাহ্ণ

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম একটি বিশ্লেষণ

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৩

মানুষের উন্নতির চাবিকাঠি হলো শ্রম। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী, সে জাতি তত বেশি উন্নত। মানুষ তার নিজের বেঁচে থাকার, পরিবারকে ভরণ-পোষণের, অপরের কল্যাণে এবং সৃষ্টি জীবির উপকারে যে কাজ করে, তাই শ্রম। ধনি-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, নর-নারী নির্বিশেষে সব মানুষই কোনো না কোনো কাজ করে। আর যে কোনো কাজ করতে গেলেই প্রয়োজন হয় শ্রমের। এ হিসেবে পৃথিবীর সব মানুষকেই শ্রমিক হিসেবে অভিহিত করা যায়।

অর্থনীতির পরিভাষায়, যারা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় কর্মকর্তার অধীনে শ্রমিক-কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন, তারাই শ্রমিক-শ্রমজীবী মানুষ। আর যারা শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ করেন, তাদের নিকট থেকে যথাযথভাবে কাজ আদায় করেন এবং শ্রমের বিনিময়ে মজুরি বা বেতন-ভাতা প্রদান করেন, তারাই মালিক। অধ্যাপক মার্শাল শ্রমের সংজ্ঞায় বলেন, মানসিক অথবা শারীরিক যে কোনো প্রকার আংশিক অথবা সম্পূর্ণ পরিশ্রম যা আনন্দ ছাড়া অন্য কোনো ধরনের উপকার সরাসরি পাওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়, তাকে শ্রম বলে (Principles of Economic, P. 54)। ইসলামী অর্থনীতির পরিভাষায় শ্রমের পরিচয় সম্পর্কে বলা হয় মানবতার কল্যাণ, নৈতিক উন্নয়ন, সৃষ্টির সেবা ও উৎপাদনে নিয়োজিত সকল কায়িক ও মানসিক শক্তি। বাহ্যত এ শ্রম উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত হোক কিংবা পারিশ্রমিক না থাকুক অথবা সে পারিশ্রমিক নগদ অর্থ হউক কিংবা অন্য কিছু এবং শ্রমের পার্থিব মূল্য না থাকলেও পারলৌকিক মূল্য থাকবে (মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে অর্থনীতি, পৃ. ১২২)। সব ধরনের শ্রমিককেই মর্যাদা দিতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে যেভাবে শ্রমের মর্যাদা দেয়া হয়, আমাদের দেশে সেভাবে শ্রমের মর্যাদা দেয়া হয় না। একজন দিনমজুরের শ্রম, কৃষকের শ্রম, শিক্ষকের শ্রম, অফিসারের শ্রম, ব্যবসায়ীর শ্রম-সবই সমান মর্যাদার অধিকারী। শ্রমের মর্যাদা সমাজের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করে। শ্রমের ব্যাপারে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে নির্দেশ দিয়েছেন, “অতঃপর যখন নামায শেষ হবে, তখন তোমরা জমিনের বুকে ছড়িয়ে পড় এবং রিযিক অন্বেষণ কর” (সূরা: জুমা, আয়াত-১০)। আমাদের প্রিয় নবী করীম (সা.) শ্রমকে ভালোবাসতেন। তিনি নিজ হাতে জুতা মেরামত করেছেন, কাপড়ে তালি লাগিয়েছেন, মাঠে মেষ চরিয়েছেন। নবী করীম (সা.) ব্যবসা পরিচালনাও করেছেন। খন্দকের যুদ্ধে নিজ হাতে পরিখা খনন করেছেন। বাড়িতে আগত মুসাফির কর্তৃক বিছানায় পায়খানা করে রেখে যাওয়া কাপড় ধৌত করে মানবতা ও শ্রমের মর্যাদা সর্বোচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শ্রমিকের মর্যাদা সম্পর্কে নবী করীম (সা.) বলেন, “শ্রমজীবী মহান আল্লাহর বন্ধু” (বায়হাকী) । নবী করীম (সা.) এ ব্যাপারে আরো বলেন, “নিজ হাতে উপার্জিত খাদ্যের চেয়ে উত্তম খাদ্য আর নেই। মহান আল্লাহর নবী দাউদ (আঃ) নিজের হাতে কাজ করে খেতেন” (বুখারী) । মালিক হযরত শোয়াইব (আঃ) তাঁর মেয়ের বিয়ে দিয়ে শ্রমিক নবী মূসাকে (আঃ) জামাই বানিয়েছেন। হযরত মুহাম্মদ (সা.) শ্রমিক যায়েদ (রাঃ)-এর কাছে আপন ফুফাতো বোন জয়নবের বিয়ে দিয়েছিলেন। বিশ্বনবী (সা.) যায়েদকে (রাঃ) মুতারের যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ইসলামের প্রথম মোয়াজ্জিন বানানো হয়েছিল শ্রমিক হযরত বিলালকে (রাঃ)। মক্কা বিজয় করে কাবা ঘরে প্রথম প্রবেশের সময় মহানবী (সা.) শ্রমিক বেলাল (রাঃ) ও শ্রমিক খাব্বাবকে (রাঃ ) সাথে রেখে ছিলেন। নবী করীম (সা.) কখনো নিজ খাদেম আনাসকে (রাঃ) ধমক দেননি এবং কখনো কোনো প্রকার কটুবাক্য ও কৈফিয়ত তলব করেননি। হযরত ওমর (রাঃ) বলেছেন, “যৌবনকালে যে ব্যক্তি শ্রম দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের খেদমত করেছেন বৃদ্ধকালে সরকার তার হাতে ভিক্ষার ঝুলি তুলে দিতে পারে না। ১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরের মার্কেটে অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজসহ বিভিন্ন দাবিতে সংগঠিত হয়ে আন্দোলন শুরু করে। বিক্ষোভ সমাবেশে নিরীহ শ্রমিকদের ওপর গুলী চালায় পুলিশ। নিহত হন অনেক শ্রমিক। শ্রমজীবী মানুষের আপসহীন মনোভাব ও আতœত্যাগের ফলে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী, ৮ ঘণ্টা কাজের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ১ মে শ্রমিক আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হয়। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর হাদিস, শ্রমিকদের সাধ্যের অতীত কাজে কখনো খাটাবে নাÑ এ নির্দেশনামূলক কথাটির কিছু অংশ হলেও ১ মের আন্দোলনে প্রতিফলিত হয়।

ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা

শ্রমিকই হলো সকল উন্নয়ন ও উৎপাদনের চাবিকাঠি। শ্রম মহান আল্লাহ প্রদত্ত মানব জাতির জন্যে এক অমূল্য শক্তি ও সম্পদ। এ সম্পর্কে আল-কোরআনে বর্ণিত আছে, “নিশ্চয়ই আমি মানুষকে শ্রমনির্ভর করে সৃষ্টি করেছি” (সূরা বালাদ : ৩)। কিন্তু ইসলাম বিবর্জিত বিভিন্ন সমাজে শ্রমের ভিন্নতাকে বিভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা হয়ে থাকে। তাদের দৃষ্টিতে কোনো শ্রম অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আবার কোনো কোনো শ্রম অত্যন্ত অমর্যাদাকর। সেখানে অর্থের মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। যে যত অর্থশালী সামাজিকভাবে তিনিই তত সম্মানী। যদিও ন্যায়নীতির মানদন্ডে যতই স্বচ্ছ হউক না কেন তারাই সমাজের নিকৃষ্ট ও অবহেলিত ব্যক্তি। তাই দেখা যায় জীবিকা নির্বাহে যারা কায়িক শ্রম নির্ভরশীল তারা আদি যুগের দাসদের চেয়েও হীন হয়ে পড়েছে। যে কোনো পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে শ্রমিকই সবচেয়ে বেশি শ্রম প্রদান করে থাকে। তাই ইসলাম শ্রমিকদের সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে থাকে। মহান আল্লাহ কাজের জন্য মানুষকে নামাযের পর বেরিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, “অতঃপর নামায শেষ করে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়। আল্লাহর অনুগ্রহ অন্বেষণ করো এবং বেশি পরিমাণে মহান আল্লাহকে স্মরণ করো যাতে সফলকাম হতে পার”(সূরা জুমআহ : ১০)। হযরত সদ (রা.) কামারের কাজ করতেন, হাতুড় দিয়ে কাজ করতে করতে তার হাত দুটি বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল। একদিন নবী করীম (সা.)-এর সাথে করমর্দন করার সময় সাদকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, হাতুড় দিয়ে কাজ করতে গিয়ে এ অবস্থা হয়েছে। নবী করীম (সা.) তার হাত চুম্বন করে বললেন, “এ হাতকে কখনো আগুন স্পর্শ করবে না” (সহীহুল বুখারী, পৃ. ৪)। মহান আল্লাহ শ্রমকে নিআমতের সাথে তুলনা করে বলেন, “যাতে তারা তার ফল আহার করে এবং তাদের হাত যা কাজ করে তা হতে; তারা কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?” (সূরা ইয়াসিন, ৩৫)। শ্রমিকদের যেন মানুষ ঘৃণা না করে বরং তাদের সম্মানের চোখে দেখে সে ব্যবস্থা ইসলাম করেছে। কারণ ইসলামের দৃষ্টিতে কোনো পেশাই ঘৃণিত নয়। নবী করীম (সা.) ঘোষণা করেন, “ঐ সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! তোমাদের কারও পক্ষে এক গাছা রশি নিয়ে বের হওয়া এবং কার্য সংগ্রহ করে পিঠে বোঝাই করে বয়ে আনা কোনো লোকের কাছে গিয়ে ভিক্ষা চাওয়ার চেয়ে উত্তম। অথচ সে ব্যক্তি তাকে দান করতেও পারে অথবা তাকে বিমুখও করতে পারে” (সহীহুল বুখারী, ১ম খ-, পৃ. ৩২৫; জামিউত-তিরমিযী, ১ম খ-, পৃ. ১৪৭; সুনানু নাসাঈ, ১ম খ-, পৃ. ৩৬২)।

ইসলামে শ্রমিকের অধিকার

সমাজের বা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শ্রমিকের ওপর কোনো কাজ চাপিয়ে দেয়া অনুচিত। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন, “তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে সুগম করেছেন। অতএব, তোমরা তার ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণ কর এবং তার দেয়া রিযিক আহরণ কর” (সূরা মুলক, : ১৫)। নবী করীম (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত মদীনার নগর রাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা ইসলামী সমাজে নারী, পরুষ, শ্রমিক, সাধারণ জনতা নির্বিশেষে সকল মানুষ মৌলিক অধিকার পরিপূর্ণরূপে ভোগ করে। আধুনিক মানবাধিকারের ধারণা পূর্ণাঙ্গরূপ লাভ করে ১৯৪৫ সালে প্রণীত জাতিসংঘ চার্টারে। কিন্তু এর ১৪০০ বছর পূর্বে সমগ্র পৃথিবী যখন জাহিলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত, সে সময় নবী করীম (সা.) মানবাধিকারের সু¯পষ্ট ঘোষণা প্রদান করে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সাম্য ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ আদর্শ মানব সমাজ গঠনে সক্ষম হয়েছিলেন। নবী করীম (সা.) বলেন, আমি কয়েক কীরাত মজুরিতে মক্কাবাসীদের বকরি চরাতাম (সহীহুল বুখারী)।মদীনার শাসক হওয়ার পরও সারা জীবন নবী করীম (সা.) শ্রমজীবী মানুষের মতো জীবন অতিবাহিত করেছেন। ইসলাম ন্যায়সঙ্গত শ্রম প্রদান করা ও শ্রমিকের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। মহান আল্লাহ বলেন, আর এই যে, মানুষ তা পায় যা সে চেষ্টা করে। আর এই যে, তার কর্ম অচিরেই দেখানো হবে। অতঃপর তাকে দেয়া হবে উত্তম প্রতিদান (সূরা নাজম: ৩৯-৪১)। ইসলাম শ্রমজীবী মানুষকে মর্যাদার আসনে সমাসীন করেছে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের অধিকারসমূহ নির্ধারণ করে দিয়েছে। ইসলামে মালিক-শ্রমিকের সম্পর্কের ভিত্তি ভ্রাতৃত্বের ওপর রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সাথে সদ্ব্যবহার, তাদের বেতন-ভাতা ও মৌলিক চাহিদা পূরণ ইত্যাদি সম্পর্কে নবী করীম (সা.) এর বাণীসমূহ দ্বারা মানবিক শ্রমনীতির সম্যক পরিচয় পাওয়া যায়। মালিকদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সে শ্রমিকের শ্রম টাকার বিনিময়ে গ্রহণ করেছে। কিন্তু সে শ্রমিককে কিনে নেয়নি যে, সে ইচ্ছামত শ্রমিক থেকে শ্রম নেবে। এজন্য সকল প্রকার অন্যায়-অবিচার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ইসলাম মালিক ও শ্রমিক পর¯পরের প্রতি কিছু দায়িত্ব অর্পণ করেছে। মালিক ও শ্রমিকের প্রতি মহান আল্লাহ নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ওয়াদা পূর্ণ কর! ওয়াদা সম্পর্কে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে (সূরা ইসরাহ: ৩৪)। আলোচনা সাপেক্ষে যদি কোনো শ্রমিকের বেতন-ভাতা বা পাশ্রিমিক নির্ধারিত হয় তাও যথাযথ বলেই মনে করতে হবে। অবশ্য দেশের শ্রম মন্ত্রণালয় যদি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, জীবনযাত্রার মান ইত্যাদি বিবেচনা করে বাস্তবসম্মত সর্বনিম্ন কোন পারিশ্রমিক নির্ধারন করে দেয় তবে তাকেও যথাযথ পারিশ্রমিক বলা যেতে পারে। তা পাওয়া শ্রমিকের অধিকার। কোনো শ্রমিক যদি যথাযথ অধিকার ও প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হন তবে তার প্রতিকারের অধিকার রয়েছে। তিনি সেজন্য ন্যায় ইনসাফের ভিত্তিতে প্রতিকার চাইতে পারবেন। কোর্টে মামলা দায়ের করতে পারবেন। সংবিধান তার জীবনের নিরাপত্তা, পারিশ্রমিকের নিরাপত্তা, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, আমাদের সমাজের মুসলিমগণও এসব দায়িত্বের ব্যাপারে জেনে না জেনে অবচেতন রয়েছে। সকল মুসলিমকে এ ব্যাপারে আরো সচেতন হওয়া দরকার বলে মনে করি। শ্রমিকদের যে বিষয়টি মনে রাখা জরুরী তা হল- বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। সুতরাং মে দিবসে যেকোন ব্যক্তির যানবাহন চালানোর বা শিল্প প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট খোলা রাখারও অধিকার আছে। তাতে বাধাদানের অধিকার কারো নেই। কিন্তু আমাদের দেশে মে দিবসে যদি কেউ যানবাহন চালায় বা দোকানপাট খোলা রাখে তাহলে উচ্ছৃংখল কিছু শ্রমিককে গাড়ি ভাংচুর করতে এবং দোকানপাট জোর করে বন্ধ করে দিতে দেখা যায়। যা আদৌ সমর্থনযোগ্য নয়। অনুরূপভাবে হরতাল-ধর্মঘটও বর্জন করা আবশ্যক। আর এজন্য সর্বাগ্রে উচিত ইসলাম প্রদর্শিত মালিক-শ্রমিক নীতিমালার পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন। মহান আল্লাহ আমাদের প্রতি সহায় হোন। আমিন।

লেখকঃ মোঃ কামাল উদ্দিন, প্রভাষক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, আতাকরা কলেজ, কুমিল্লা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020