বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ হলেও শীতকাল ভিন্নভাবে আমাদের কাছে এসে হাজির হয়।দেশের বিভিন্নস্থানে শীতকালীন পিঠা তৈরি ও বিক্রি হয়। কখনো কখনো শীতবস্ত্র বিতরণের টাকা সংগ্রহের জন্য পিঠা উৎসব আয়োজন করা হয়। শীতকালে অনেকের কাছে ভ্রমণ, ও রোমান্টিক কাল হলেও কিছু মানুষের জন্য তা ভয়ানক ঋতু হয়ে দাড়ায়। কারণ যারা শীতের বস্ত্র নেই তারা খুব কষ্টে দিন যাপন করে।
ঋতুর পরিবর্তনের কারণে শীতের প্রকোপ ও তীব্রতা অবস্থাভেদে ডিসেম্বর ও জানুয়ারীতে বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য বিক্রেতা কত ধরনের নীতি ও কৌশল অবলম্বন করে। চাঁদপুরের কচুয়াস্থ উপজেলার উজানী বাজারে এ ধরনের একটি বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে। শীতের পিঠার এ দোকানে এক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। দোকানদার ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রায় একশত (১০০) প্রকারের ভর্তা তৈরি করে থাকে। এ দোকানে চিতই পিঠা, গুড়ের ভাবা পিঠা, দুধ চিতই পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা পাওয়া যাবে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ দোকানে অনেকে পিঠা খেতে আসে। এছাড়াও শখানেক ভর্তার ধরন দেখে অনেকেই খুশি এবং ছবি তোলে থাকে।
এ শীতের সময়টুকু সবার ভালো কাটুক। শীতার্ত মানুষের পাশে সবাই সামর্থমত দাড়ালে সমাজে অবহেলিত মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। শীতের পিঠা খাবার উৎসবে মেতে উঠুক বাংলার বিভিন্ন জনপদ, সেই প্রত্যাশায়।
লেখক,
মোঃ হাবিবুর রহমান
গবেষক, কবি ও লেখক, ই-মেইল: [email protected]