ফখরুল বলেন, বিএনপি আইন মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চায়। এ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সাতটি বিভাগীয় সমাবেশ করেছে। প্রতিটি সমাবেশেই সরকার বাধা দিয়েছে। আরে কত ভীরু, কত কাপুরুষ, গাড়ি বন্ধ করে দেয়। ট্রাক, বাস, লেগুনা বন্ধ করে দেয়। তাতে কি সমাবেশ বন্ধ করতে পারছে? বরং মানুষ আরও বাড়ছে। তিন ঘণ্টার সমাবেশকে তোমরা তিন দিন বাড়াইছ।
ফখরুল বলেন, এরা যখন কথা বলে, মনে হয় ধর্মপুত্র। কিন্তু এরা সবচেয়ে নির্মম। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাঞ্ছারামপুরের নাকি ঘটনা সাজানো। এরা কত অমানুষ হতে পারে, কত নির্মম, অমানবিক হতে পারে যে দুঃখ পর্যন্ত প্রকাশ করে না। বলে সাজানো ঘটনা, আরে সাজানো নায়ক তো তোমরা হয়েই আছ। জোর করে, বিনা ভোটে, বন্দুক-পিস্তল দিয়ে ক্ষমতায় বসে আছ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান যদি সত্য হয়, আওয়ামী লীগ তোমরা সত্য নও। কারণ, সংবিধানে পরিষ্কার করে বলা আছে, বাংলাদেশের সরকারকে নির্বাচিত হতে হবে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র্যাবের কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আমরা চাই না। অন্য রাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আমাদের জন্য লজ্জাকর, অপমানের। কিন্তু এই লজ্জা,অপমানের জন্য দায়ী কে? শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সরকার। আমরা চাই না, অন্য কোনো বাহিনী আবার সেই নিষেধাজ্ঞায় পড়ুক।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা সবাই সমাবেশের সামনে চারদিকে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি তাদের কাছে একটা প্রশ্ন রাখতে চাই যে, তারা এদেশের সন্তান। এদেশের প্রতিটি মানুষ তাদের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে এদেশের সমস্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন নেয়। আপনাদের কাঁধে বন্দুকটা রেখে আওয়ামী লীগ আজকে যে অবৈধ অন্যায়-বেআইনি অমানবিক শাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার দায় কিন্তু এসে পড়ে আপনাদের কাঁধে। প্রশাসনের কেউ যেন জনগণের প্রতিপক্ষ না হন।