1. [email protected] : thebanglatribune :
  2. [email protected] : James Rollner : James Rollner
মানবসম্পদ উন্নয়নে ইসলামের দর্শন: মোঃ কামাল উদ্দিন - The Bangla Tribune
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ | ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ

মানবসম্পদ উন্নয়নে ইসলামের দর্শন: মোঃ কামাল উদ্দিন

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, নভেম্বর ১৪, ২০২২

“মানব সম্পদ উন্নয়ন” আধুনিক কালের বহুল আলোচিত কয়েকটি শব্দসমষ্টি। দেশে অর্থনেতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করিতে হইলে দক্ষ মানব সম্পদ গড়িয়া তোলা অত্যাবশ্যক। উন্নত দেশের ইহাই মূল চালিকাশক্তি। ব্যক্তিগত জীবনেও উন্নতির জন্য স্ব—স্ব ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন একান্ত প্রয়োজন।

তবে দক্ষতা রাতারাতি অর্জন করা সম্ভব নহে। মূলত, উন্নত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং কর্মপরিবেশের উন্নয়নের মাধ্যমে ইহার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে ধনী দেশ হিসাবে আবিভূর্ত হইবে। উন্নয়নের এই লক্ষ্যে পৌঁছাইতে হইলে জনশক্তিকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করিবার কৌশল গ্রহণ করার এখনই সময়। মানুষ মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এই মানুষকে কেন্দ্র করেই সমগ্র সৃষ্টিজগতের সৃষ্টি। আধুনিককালে মানুষের জীবন কীভাবে আরো ফলপ্রসূ করা যায় তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হচ্ছে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এই মানুষের উন্নয়ন সাধন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়োজিত করতে হলে প্রয়োজন যথার্থ কৌশল প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন। আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবনব্যবস্থা ইসলাম মানবসম্পদ উন্নয়নে কী কী নির্দেশনা দিয়েছে তা এই প্রবন্ধে সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়নের পরিচয়, এই ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জ্ঞান অর্জন, জীবিকা অর্জন, স্বনির্ভরতা অর্জন, কর্তব্য পালন, যোগ্যতা অর্জন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে ইসলামের গুরুত্বারোপ ও কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আরোপ বিষয়ে অত্র প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।

মানব সম্পদ উন্নয়ন

উন্নয়ন একটি মৌলক পরিবর্তন প্রক্রিয়া, যা সমগ্র সমাজকে অন্তভুর্ক্ত করে। এতে একটি সমাজের অর্থনেতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং ভৌত কাঠামো, পাশাপাশি সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধ ব্যবস্থা ও জীবন ধারণা পদ্ধতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধিত হয়। উন্নয়নের মূল কেন্দ্রবিন্দু মানুষ। এটি একটি পথ মাত্র, চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়। যে উন্নয়নে মানুষের জীবন উন্নত হয় না বা যাতে মানুষের অংশগ্রহণ থাকে না, সে উন্নয়ন উন্নয়নই নয়। মানবসম্পদ উন্নয়ন ধারণার মতে, যার মূল কথা মানুষের উন্নয়ন, মানুষের জন্য উন্নয়ন এবং মানুষের দ্বারা উন্নয়ন। মানব উন্নয়ন ধারণা সৃষ্টিশীলতা ও বিকাশকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। সাধারণ কথায়, মানবসম্পদ উন্নয়নকে বলা হয়, ঔড়ন চবৎভড়ৎসধহপব অর্থাৎ উন্নয়ন ব্যবস্থা হবে সম্পূর্ণ মানবকেন্দ্রিক  মানুষ নিজেরা নিজেদের দৈহিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন ঘটাবে এবং নিজেরাই তার ফল ভোগ করবে।

মানবসম্পদ উন্নয়নে ইসলামের দর্শন:

ইসলামে মানব উন্নয়ন আর্থ—সামাজিক, শিক্ষা—সাংস্কৃতিক উন্নয়নের মূল বিষয়। কুরআন মাজীদের মৌলিক বিষয় হলো মুসলিমের আধ্যাত্মিক ও বস্তুগত সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য মানব উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ গঠন। এ উন্নয়নের জন্য ইসলাম মানুষের দৈহিক আকৃতিতে মানুষ হওয়ার সাথে সাথে মানবিক ঔদার্য ও মানসিক সৌন্দর্যের অধিকারী হওয়ার সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। ইসলাম ঘোষণা করেছে, আল্লাহ তা’য়ালার সৃষ্টি হিসেবে মানুষ সম্মানিত এবং শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ তা’য়ালাই মানুষকে এ শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনিই মহান আল্লাহ, যিনি পৃথিবীতে তোমাদের প্রতিনিধি বানিয়েছেন এবং তোমাদের একজনকে আরেকজনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। উদ্দেশ্য হলো, তিনি আমাদের যা কিছু দিয়েছেন তার মাধ্যমে তোমাদের পরীক্ষা করবেন।   আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন, ওদের জিজ্ঞেস করো, কে হারাম করলো আল্লাহ সেই সব সৌন্দর্যকে, যা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্যে উৎপন্ন করেছেন এবং উত্তম জীবনোপকরন সমূহকে? সত্তা, যিনি তোমাদেরকে দুনিয়ার প্রতিনিধি বানিয়েছেন’। তিনি অন্যত্র বলেছেন: নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দিয়েছি, তাদেরকে স্থলভাগে ও সাগরে চলাচলের বাহন দিয়েছি, তাদেরকে পবিত্র জীবিকা দিয়েছি এবং আমি যাদেরকে সৃষ্টি করেছি তাদের অনেকের উপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তবে মানুষের এ শ্রেষ্ঠত্বকে আল্লাহ তা’য়ালা স্থায়ী ও অক্ষয় করে দেননি। বরং মানুষের আচরণিক ও আত্মিক উন্নয়ন করা ও না করার উপর এর ভিত্তি স্থাপন করেছেন। কেউ যদি আল্লাহ তা’য়ালার নির্দেশনা মেনে নিজের আচরণ ও মানসিকতা উন্নত করে তাহলে সে তার শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে পারবে। “আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে বলেছেন নিশ্চয় : আমি মানুষকে সুন্দরতম করে সৃষ্টি করেছি। এরপর আমি তাকে সর্বনিম্ন স্তরে নামিয়ে দিয়েছি”। মানুষের মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুন্ন রাখার পথ হিসেবে আচরণিক ও আত্মিক উন্নয়ন অনিবার্য করে ইসলামে মানবসম্পদ উন্নয়ন চেষ্টা নৈতিকভাবে সকলের জন্য বিধিবদ্ধ উপায়ে আবশ্যিক করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আবশ্যিক হয়েছে জ্ঞান অর্জন, হালাল জীবিকা উপার্জন ও গ্রহণ, স্বনির্ভরতা অর্জন, কর্তব্য পালন, যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ, আখিরাতে সফলতা ব্যর্থতাকে—মাপকাঠি হিসেবে গ্রহণ এবং বিশেষভাবে নৈতিক উন্নয়ন।

জ্ঞান চর্চার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হ’ল না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্বজাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে?’  জ্ঞান চর্চার ব্যাপারে ইসলামে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন,‘যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সিজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে ইবাদত করে, পরকালের ভয় করে এবং তার পালকর্তার রহমতের প্রত্যাশা করে সে কি সমান, যে এরূপ করে না।জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেন,‘যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনে কোন পথ অবলম্বন করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। ফেরেশতাগণ জ্ঞানার্জনকারীর জন্য দো’আ করে। জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে আকাশ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা, এমনকি পানির নীচে মাছও। জ্ঞানী ব্যক্তি ঠিক সে রকম, যেমন পূর্ণিমার রাতের চাঁদ তারকারাজীর উপর দীপ্তিমান। আর জ্ঞানীগণ নবীদের উত্তরাধিকারী।

ইসলামে কেউ কারো গলগ্রহ হয়ে থাকাকে সমর্থন করা হয়নি। ব্যক্তি নিজে উপার্জন করবে, নিজের আয়ের উপর নির্ভর করবে। অন্য কারো আয়ে ভাগ বসাবে না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘পবিত্রতম উপার্জন হলো মানুষের নিজের হাতের পরিশ্রম এবং প্রত্যেক বিশুদ্ধ ব্যবসায় এর উপার্জনস্বনির্ভরতা। অ র্জনের জন্য কাজ করতে হলে কেউ যেন তাতে দ্বিধা না করে, লজ্জিতবোধ না করে তা নিশ্চিত করার জন্য ইসলামের শ্রম ও শ্রমিককে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। নানাভাবে বলা হয়েছে , আল্লাহ তাআলা শ্রম পছন্দ করেন। সামর্থ থাকা সত্ত্বেও যারা ব্যবসা না করে, বা কাজ না করে, বা শ্রমের মাধ্যমে উপার্জন না করে শুধু দান লাভ বা ভিক্ষাবৃত্তির উপর নির্ভর করে, ইসলামের দৃষ্টিতে তারা খুবই নিন্দা ও তিরস্কারযোগ্য। ইসলামে প্রশংসনীয় লোক হলো তারা, যারা ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরি বাকুরির মাধ্যমে উপার্জন করে।অর্থ উপার্জনে আত্মনিয়োগ করা মুমিনদের জন্যে অত্যাবশ্যক।স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন:, হে মুমিনা! জুমাবারে যখন সালাতের দিকে ডাকা (আযান দেয়া) হয়, তখন তোমরা বিজনেস রেখে দ্রুত (সালাত)— এর দিকে আসো। এতেই রয়েছে তোমাদের জন্যে কল্যাণ যদি তোমরা জ্ঞান খাটাও। অতপর সালাত শেষ হবার সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়ো জমিনে (তোমাদের পেশায়) এবং সন্ধান করো আল্লাহ অনুগ্রহ (জীবিকা), আর বেশি বেশি আলোচনা করো আল্লাহ কথা। এভাবেই অর্জন করবে তোমার ফালাহ (কল্যাণ ও সাফল্য)। মুসনাদে আহমদ রাফি বিন খাদিজ রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা.  কে জিজ্ঞাসা করা হলো: কোন ধরনের উপার্জন সর্বোত্তম? তিনি বলেন: “ব্যক্তির সশ্রমে হালাল ব্যবসার মাধ্যমে উপার্জন।” আল্লাহ তা’আলার হুকুম আর আল্লাহর রাসূলের এ নির্দেশনা মেনে ব্যক্তি যদি স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে অনিবার্যরূপে তাঁর ব্যক্তিত্ব, যোগ্যতা, দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবে।এভাবে উন্নয়ন ঘটবে মানবের।

ইসলাম সাধারণভাবে সকল মানুষকে কর্তব্যপরায়ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সকলের জন্য অর্পিত কর্তব্য পালন আবশ্যিক করেছে এবং এ ক্ষেত্রে যে কোন অবহেলাকে আল্লাহ তাআলার নিকট জবাবদিহিতার বিষয় বলে সতর্ক করেছে। রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, সাবধান তোমরা! প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব, ইমাম বা নেতা, যিনি জনগণের ওপর দায়িত্ববান তিনি তার—অধীনদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবেন। আর ব্যক্তি, যে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি দায়িত্বশীল সে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সতর্ক হবে। আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন, (হে মানুষ!) আমরা পৃথিবীতে তোমাদের কর্তৃত্ব দান করেছি এবং সেখানেই রেখে দিয়েছি তোমাদের জীবনের উপকরণ (অর্থাৎ পৃথিবীর বুকেই তোমরা জীবিকা সন্ধান সংগ্রহ করো)। আল্লাহর তায়ালা বলেন  আল্লাহ যেসব জিনিস দিয়ে তোমাদের একজনকে আরেকজনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, সেটার জন্যে তোমরা লালসা করোনা। পুরুষ যা উপার্জন করে তা তার প্রাপ্য অংশ। নারী যা অর্জন করে তা তার প্রাপ্য অংশ। আল্লাহর কাছে তার অনুগ্রহ (অর্থ সম্পদ, সহায় সম্বল) প্রার্থনা করো। ইসলাম একান্তভাবে মানুষকে এ শিক্ষা দিয়েছে, কেউ কারো বোঝা বহন করবে না। কেউ অন্য কারো কাজের জবাবদিহিতা করবে না। সাধারণভাবে কেউ অন্য কারো কাজের দায় ভোগ করবে না। বরং প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজের সুফল বা কুপর ভোগ করতে হবে। এ শিক্ষার ফলে মানুষ নিজেকে দায়িত্বশীল, কর্তব্যপরায়ণ হিসেবে গড়ে তোলে। এটি তার ব্যক্তি সত্তার উন্নতি বিধান করে।

ইসলাম মানুষে মানুষে মানবিক কোন ব্যবধান বা বৈষম্য স্বীকার করেনি। মানবিক মর্যাদায় সাধারণভাবে সকলকে সমান মর্যাদা ও গুরুত্ব প্রদান করেছে। মানুষের উৎস ও বিস্তার সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ তাআলা এ বিষয়টি নির্দেশ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে মানুষ সকল তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর! যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন, যিনি সৃষ্টি করেছেন সে ব্যক্তি থেকে তার জোড়া, আর তাদের দুজন থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন অসংখ্য পুরুষ ও নারী। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অন্যের নিকট কিছু চাও। আর তোমরা আত্মীয়দের ব্যাপারে সতর্ক হও। নিশ্চয় (হক আদায় ও সম্পর্ক অটুট রাখার) আল্লাহ তোমাদের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। আল্লাহ তাআলা আরও বলেছেন, হে মানুষ আমি! তোমাদের সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও  এক নারী হতে, পরে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, হে মানব জাতি নিশ্চয় তোমরা একই জাতি!তোমাদের পিতাও একজন। সতর্ক হও কোন! আরবের উপর অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, কোন অনারবের উপর আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। কোন কালোর উপর সাদার কিংবা সাদার উপর কারোর তাকওয়া ব্যতীত কোন মর্যাদা নেই। সাধারণভাবে সকল মানুষকে এভাবে সমান ঘোষণার পর কুরআন ও হাদীসে মানুষের উপর মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব ও কর্তৃত্বের জন্য বিশেষ যোগ্যতা অর্জনের তাগিদ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সে ব্যক্তিই সবচেয়ে বেশি মর্যাদা সম্পন্ন, যে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাকওয়াবান। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু জানেন, সবকিছুর খবর রাখেন।আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে তাঁর দেওয়া বিধান মোতাবেক চলার তৌফিক দান করুক।আমিন।।

লেখকঃ প্রভাষক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, আতাকরা কলেজ, কুমিল্লা, বাংলাদেশ।

ইমেইলঃ [email protected]

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020