ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়ি যায়নি অনেক চাকরি প্রত্যাশী

ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়ি যায়নি অনেক চাকরি প্রত্যাশী

ঈদের আমেজে দেশ মজেছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য ঘর ছাড়া মায়ের স্বপ্নগুলো বাড়ি ফিরেছে। তাদের সংস্পর্শে ফের পরিবারে ফিরবে আনন্দ ছোঁয়া। কিন্তু  স্বপ্ন পূরণের আকাঙ্ক্ষাসহ নানাবিধ সমস্যার কারণে এ ঈদে বাড়ি ফেরেনি শত মায়ের স্বপ্ন!

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ও আসন্ন বিসিএস পরীক্ষাসহ সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আবাসিক হলগুলো খোলা রেখেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে এসব হলেই এবার ঈদ কাঁটাচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদুল আজহার ছুটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ আরো বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও খোলা থাকছে আবাসিক হল। ফলে এ ঈদে প্রত্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে শতাধিক শিক্ষার্থী থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের প্রত্যাশা, নিজের ক্যাম্পাসেই ঈদের আনন্দটুকু ভাগাভাগি করা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ঈদ উদযাপন করছেন ২২৬ জন শিক্ষার্থী। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন শহীদ হবিবুর রহমান হলে। এই হলে রয়েছেন ৩১ জন শিক্ষার্থী। তবে বেগম খালেদা জিয়া হলে কোন শিক্ষার্থী না থাকায় হলটি সিলগালা করা হয়েছে।

এছাড়া মন্নুজান হলে ৭ জন, তাপসী রাবেয়া হলে ২ জন, মাদার বখশ হলে ২০ জন,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রহমান হলে ১৫ জন, রহমতুন্নেসা হলে ২ জন এবং শের ই বাংলা একে ফজলুল হক হলে ০৬ জন, জিয়াউর রহমান হলে ১৩ জন, বঙ্গমাতাফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ২০ জন, রোকেয়া হলে ১৩ জন, শহিদ শামসুজ্জোহা হলে ১০ জন, শাহ মখদুম হলে ১৬ জন, মতিহার হলে ১৩ জন, সোহরাওয়ার্দী হলে ১৬ জন ও সৈয়দ আমির আলী হলে ২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহেল আরমান বলেন, এবছর ঈদে বাড়ি যাচ্ছি না। চলতি মাসের ২৪ তারিখ বিসিএস’র লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পড়াশোনা শেষ। একটা চাকরি প্রয়োজন। তাছাড়া বাড়িতে বিশেষ কোন উদযাপনও নেই। তাই অনন্যোপায় হয়ে হলেই থাকা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান শোভন বলেন, ঈদে কিছুদিন পরেই চতুর্থবর্ষের পরীক্ষা শুরু হবে। তাই এবার বাড়ি যাচ্ছি না। তাছাড়া বাড়ি অনেক দূরে হওয়ায় যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়। তাই বন্ধুর সাথে এবার ক্যাম্পাসেই ঈদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তবে শখের বসেও ক্যাম্পাসে ঈদ করছেন অনেক শিক্ষার্থী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েরশিক্ষার্থী মতিয়ার জানান, আমার পড়াশোনা শেষ। ঈদের পরেই হয়তো বাড়িতে চলে যাবো। কিন্তু ক্যাম্পাসে কখনো ঈদ করার সুযোগ হয়নি। এ বছর যেহেতু সুযোগ পেয়েছি, তাই ক্যাম্পাসেই ঈদ করতে চাই।

এছাড়া ক্যাম্পাসেই ঈদ উদযাপনের কারণ হিসেবে বন্যা পরিস্থিতি, বিসিএস পরীক্ষা, ইয়ার ফাইনাল ও পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী। ফলে অনেকে পরিবার ছেড়ে বাধ্য হয়েই ক্যাম্পাসে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে হচ্ছে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *