পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা চান

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা চান

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ৫০০ এর মধ্যে না থাকা বেদনাদায়ক। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা চান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

তিনি বলেন, বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০০ এর মধ্যে না থাকা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। দেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সব সূচকে উন্নতি করছে। কিন্তু লেখাপড়ায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছি। শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনা দরকার। শিক্ষা ও গবেষণা হতে হবে ফল নির্ভর।  মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ইউজিসি আয়োজিত ‘এক্সপ্লোরিং দ্যা পটেনশিয়াল অব সিউইডস ফর প্রমোটিং দ্যা ব্লু ইকোনমি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি সমুদ্র সম্পদের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন। এ মন্ত্রণালয়ের নাম ‘মিনিস্ট্রি অব সি-রিসোর্সেস’ হতে পারে বলেও মত তার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগর ঘিরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠেছে। এর আর্থ-সামাজিক ও কূটনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। দেশের সমুদ্র সম্পদের সমন্বয় সাধন, পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া বা সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি মন্ত্রণালয় স্থাপন প্রয়োজন। এ মন্ত্রণালয়ের নাম  ‘মিনিস্ট্রি অব সি-রিসোর্সেস’ হতে পারে।

ড. শামসুল আলম বলেন, দেশের সমুদ্রসীমায় কী পরিমাণ প্রাণীজ ও অপ্রাণীজ সম্পদ রয়েছে সেটি সুনির্দিষ্ট এবং এ কাজে গবেষণা পরিচালনা করা প্রয়োজন। সিউইডস মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, পুষ্টির যোগানও দেবে।

সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সমুদ্র বিজয়’ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন; কিন্তু সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে বিজয়ের অর্জন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখতে পারবে না।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *